প্রত্যাহার হলেন গণধোলাইয়ের শিকার ৩ পুলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ‘ইলিশবাজি’ করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিন পুলিশ সদস্য। জেলেদের কাছ থেকে মাছ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের।
রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহতাব আলী বুধবার দুপুরে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করার কথা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনসে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহতাব আলী তাদের প্রত্যাহার করার কথা নিশ্চিত করেছেন। এরা হলেন- রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আল মামুন, আলাল হোসেন ও শামীম হোসেন। তাদের বাড়ি বগুড়া জেলায়।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি এলাকার পদ্মা নদীতে ‘ইলিশবাজি’ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন এই তিন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সুপার চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিএম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, কোনো পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও অনৈতিক আচরণের দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলেরা মাছ ধরার পর প্রায় ৩০ কেজি ইলিশ জেলে আলী হোসেন, বাবু ও সফিকুলসহ কয়েকজনের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে নেন ওই তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ-ছয়জন। এরপর তাদের সন্দেহ হলে তিনজনকে আটকের পর এলাকাবাসী গণধোলাই দেয়।
এরপর কয়েকজনের সহায়তায় একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয় তিনজনকে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সহায়তায় জনতার হাতে আটক তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান।
একটি নৌকাতে করে তারা নদীতে গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে বড় সাইজের ইলিশগুলো নিলেও কোনো দাম পরিশোধ করেননি বলে জানান জেলেরা।
এলাকাবাসী আরও জানান, তারা ৫-৬ জন ছিল। বাকি দুজন এদেরকে আটকের পর পালিয়ে যায়। গত সোমবারও এই তিনজনসহ আরও কয়েকজন জেলেদের কাছ থেকে জোর করে ইলিশ মাছ নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই
