ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

যমুনার চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৪০

যমুনার চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা বাদামের বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যমুনার পানি শুকিয়ে চারিদিকে এখন শুধু বালুচর। সূর্য না উঠতেই কৃষক পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে বালুচরে তাদের স্বপ্ন বুনছেন। বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের বেলে মাটির জমিতে বাদাম চাষ করছেন। আশ্বিন-কার্তিক মাস বাদাম চাষের সঠিক সময়। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে তা আবার কৃষকের ঘরে উঠে। চলতি বছর বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর অধিক পরিমাণ জমিতে বাদাম চাষ করছেন চাষিরা।

সরেজমিন দেখা যায়, এ উপজেলার গোবিন্দাসী, অজুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের চরতারাই, চরভরুয়া, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রায়ের বাসালিয়া, রামাই, বাসিদকল, রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর ও ডিগ্রিচর অঞ্চলের বাদাম বীজ বপনে চাষিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। চাষিরা বলেন, আমরা বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে বীজ বপন ও বাদাম ক্ষেতের পরিচর্যা শুরু করেছি। কারণ অল্প খরচে এবং কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। বাদাম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় পাঁচ-ছয় হাজার টাকা এবং বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ মণ খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি লাভ হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।

গাবসারা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বাদাম চাষি সিরাজ আলী বলেন, গত বছর আমি ৯ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আমি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

খরচবিহীন এই ফসল কৃষককে দিচ্ছে প্রচুর অর্থ। সুস্বাদু, মুখোরচক ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হচ্ছে। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে যানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আগামী ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় চরাঞ্চলের ১০০ জন বাদাম চাষিকে ১০ কেজি বাদাম বীজ এবং ১৫ কেজি করে সার বিতরণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, গত বছর যমুনা চরাঞ্চলে প্রায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছিল। এ বছর এর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িরে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত