ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও-১: তরুণ নেতাকে নৌকার মাঝি চান নেতাকর্মীরা

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৩

ঠাকুরগাঁও-১: তরুণ নেতাকে নৌকার মাঝি চান নেতাকর্মীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন প্রয়াত এমপি খাদেমুল ইসলামের মেঝো ছেলে সাবেক ছাত্র নেতা সাহেদুল ইসলাম সাহেদ।

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ের নির্বাচনী অফিসে মনোনয়ন ফরম জমা দেন সাহেদুল ইসলাম সাহেদ। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: মাহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ সেন, সাদেক কুরাইশী, এ্যাড মকবুল হোসেন বাবু, অরুনাংশু দত্ত টিটো, তাহমিনা আক্তার মোল্লা, ইন্দ্রনাথ রায়, রাজিউর রেজা খোকন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুলাল নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে সাহেদুল ইসলাম সাহেদের মনোনয়ন ক্রয়কে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ব্যক্তি ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নের রূপকার ও জনমানুষের অকৃত্রিম বন্ধু প্রয়াত এমপি খাদেমুল ইসলাম যেভাবে শ্রেণী-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে মিশেছেন এবং পঁচাত্তর পরবর্তী দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন তা সকলেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রেখেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও জামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা মরহুম খাদেমুল ইসলামের অবদান মনে রেখেছেন। আমরা আশাবাদী, নেত্রী এই মরহুম নেতার সুযোগ্য পুত্র সাহেদুল ইসলাম সাহেদকে মনোনয়ন দিয়ে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঠাকুরগাঁয়ে দলের বর্তমান ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের সুযোগ করে দেবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা দুলাল সেন বলেন, সাহেদুল ইসলাম একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি অবশ্যই তার পিতার এই অঞ্চলে শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি কাজে লাগিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে নিতে পারবেন। আমাদের জোর দাবি, নেত্রী তাকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন দিলে তিনি তার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, মরহুম খাদেমুল ইসলাম ছাত্র জীবনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার নেতৃত্বে আস্থাশীল হয়ে ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে জুলুম নির্যাতন নেমে আসে সেই রোষানল থেকে তিনিও মুক্তি পাননি। তাকে দশ মাস কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয়।

জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সবচেয়ে সংকটাপন্ন সময়ে ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে দলকে সংগঠিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সফলভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন হতে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অবশেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই জননেতা। পরে উপ নির্বাচনে বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেন নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হোন।

খাদেমুল ইসলামের মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সদ্য এমএ পাশ করা সাহেদুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে বাংলাদেশী হাইকমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর পুনরায় সাহেদুল ইসলাম কে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নিযুক্ত করেন। যার দায়িত্ব সাহেদ সফলতার সাথে পালন করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত