ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজধানীতে ইভিএম মেলা শুরু

আস্থার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসির ওপেন চ্যালেঞ্জ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৪৮

আস্থার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসির ওপেন চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার থেকে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সনাতন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে ভোটগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন আনতে হলে প্রযুক্তির দিকে এগুতেই হবে। কমিশন মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলো এটি নিয়ে ভ্রান্ত ধারনা পোষণ করছে। সঙ্গতকারণেই জনমনেও উঁকি দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। আর এসব প্রশ্নের সমাধান দিতেই ইভিএম মেলা আয়োজনের মাধ্যমে এটিকে জনসম্মুখে নিয়ে এসেছে ইসি। ইভিএম’র স্বচ্ছতার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কমিশন। দলগুলোকে মেলায় এসে এটি দেখার পর তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হলে নির্বাচনে এর ব্যবহার থেকে সরে আসারও আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সোমবার ইভিএম মেলা উদ্বোধনকালে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে এটি দেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, আপনারা আসুন, আপনাদের মধ্যে যদি কোনো প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি থাকে- নিয়ে আসুন, পরীক্ষা করুন। আমাদের যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকে তা শুধরে দিন। এটি থেকে আর পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এসময় ইসি কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মুখলেসুর রহমান, এনআইডি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, প্রতিটি জায়গায় এখন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। শুধুমাত্র নির্বাচনেই এখনও পর্যন্ত আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এটাকে আমাদের অবশ্যই এড্রেস করতে হবে। সনাতন পদ্ধতি থেকে এখন আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। এক সময় না এক সময় শুরুটা করতেই হবে। ভুল হলে প্রশ্ন থাকবে, সেই প্রশ্নের উত্তরও দেয়া হবে। আবার এগিয়ে যেতে হবে। আবার ভুল হবে, আবার সামনে যাব আমরা। প্রযুক্তি এক জায়গায় থেমে থাকে না, প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ইভিএমকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে ভোটের অধিকার দেয়ার চেষ্টা করা হবে। মানুষ ভোট দিতে চায়, নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জিম্মাদার।

তিনি বলেন, ইভিএম’র অনুকূলে আইন ও বিধি প্রণিত হয়েছে। এবার নির্বাচনে সীমিতভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম-এ ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ যেমন ইভিএম ছেড়ে দিয়েছে, আবার অনেকে গ্রহণও করছে। তাই ইভিএম নিয়ে আমাদের সমালোচনা করলে হবে না। এর ভালো দিকটাও আমাদের দেখতে হবে।

অপর নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, বাংলাদেশের এখন নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। এখন আর প্রতিবেশী দেশের পরিচয় দিয়ে আমাদের পরিচত হতে হয় না। বাংলাদেশ যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, তখন আমরা কেন ব্যালটে পড়ে থাকব! ইভিএম দেখেন, বুঝেন, তারপর মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইন সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ইভিএম দেখেছি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। এতে কোনো ত্রুটি পাইনি। নির্বাচন কমিশনে আমরা শপথ নিয়ে এসেছি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য। এখানে কারও কোনো সন্দেহের ক্ষেত্র আছে বলে মনে করি না। আমরা যদি আইনগুলো ঠিক মতো প্রয়োগ করি এবং সবাই যদি আইন মেনে চলি তাহলে যে কোনো বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠা সম্ভব।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত