ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা ভূরুঙ্গামারী

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৮

প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা ভূরুঙ্গামারী

স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা।

১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ দিকে খোলা রেখে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিন দিক থেকে আক্রমণ চালায়।

সারারাত তুমুল যুদ্ধ শেষে পাকবাহিনীরা রায়গঞ্জের দিকে পিছু হটলে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী মিলে ভূরুঙ্গামারী দখলে নেয় এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে (তৎকালিন সিও অফিস) জাতীয় পতাকা উত্তেলন করা হয়।

এইযুদ্ধে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন আতাউল্যা খান বোমার আঘাতে মারা যান এবং বাঙ্কারে তার পাশে একজন নির্যাতিতা (বীরাঙ্গানা) নারীর লাশ পাওয়া যায়। যুদ্ধে ৩০/৪০ জন জীবিত পাক সেনা, তৎকালিন সিও অফিসের বাস ভবন থেকে চারজন (বীরাঙ্গনা) নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধার করা হয়। যাদের একজন ৬/৭ মাসের গর্ভবতী ছিলো এবং একজন ময়মনসিংয়ের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ছিলেন।

একই ভাবে ভূরুঙ্গামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একই অবস্থায় ১৬ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নারী ও জীবিত পাক সেনাদের মিত্র বাহিনী ভারতে নিয়ে যায়। এযুদ্ধে পাক ও মিত্র বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সৈন্য মারা যায়। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা এবং সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর নওয়াজিসের পরিকল্পনায় সমস্ত আক্রমণ পরিচালিত হয়।

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব দিবসটি পালন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত