ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও: ১

মনোনয়ন প্রত্যাশী খোকনের ঠাকুরগাঁওকে নিয়ে ভাবনা

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:৩০

মনোনয়ন প্রত্যাশী খোকনের ঠাকুরগাঁওকে নিয়ে ভাবনা

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১৪ জন। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কামরুল হাসান খোকন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৮৭ এসএসসি পাশ করার পর ৯০ দশকে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজ পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে আলোচনায় উঠে আসে খোকন।

১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনে জেলার সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করেন। সারা দেশে ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করার জন্য মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। ২০০৬ সালে ছাত্রলীগ ছেড়ে মূল দলের সাথে কাজ শুরু করে আওয়মী লীগর উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হোন।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুল হাসান খোকন ঠাকুরগাঁও জেলাকে নিয়ে সম্ভবনাময় ভাবনার কথাগুলো তুলে ধরে বলেন, আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার ভৌগলিক গঠন এমন- মহাসড়কের পূর্বদিকে কোন থানা-উপজেলা নেই। ঠাকুরগাঁও-কে পাশ কাটিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ও এশিয়ান হাইওয়ে নির্মাণ চিত্র তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে উন্নয়নের রাস্তা বাংলাবান্ধা-তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় হয়ে দেবীগঞ্জ-ডোমার হয়ে নীলফামারী দিয়ে চলে গেছে। এমতাবস্থায় এশিয়ান হাইওয়ের একটা কানেক্টিভিটি সড়ক বোদা হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী হয়ে দিনাজপুরের দশ মাইল-দিনাজপুর শহর এর গা ঘেঁষে পার্বতীপুর বা ফুলবাড়ী-তে গিয়ে যুক্ত হলে অর্থনৈতিক ভাবে অগ্রসর হবে ঠাকুরগাঁও।

তিনি বলেন, খাদ্যশস্য প্রধান অঞ্চল ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়। এ চার জেলাকে কেন্দ্র করে এগ্রো বেইজড অঞ্চল ঘোষণা দিয়ে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করা যেতে পারে।

কামরুল হাসান খোকন বলেন, জেলার রানীশন্ধ, কৈল, হরিপুর, বালিয়াডাংগী, পীরগঞ্জ উপজেলা ও নবগঠিত রুহিয়া থানা (উপজেলায় প্রক্রিয়াধীন) শুধুই কৃষি নির্ভর। কৃষি ব্যতীত অন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নাই বললেই চলে। (বালিয়াডাংগী ও হরিপুরে চায়ের চাষ শুরু হয়েছে কয়ে বছর ধরে)। সরকারি উদ্যোগে উপজেলাগুলোতে মিল্কভিটা ও এ জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আখ চাষে সময় অনেক লাগে তুলনায় খরচ উঠে আসে কোনমত তাই বিকল্প চাষে মনোযোগী কৃষকেরা। চিনিকলের অনেক খামারের জমি পড়ে রয়েছে। সেই জমি গুলোকে কাজে লাগাতে পারলে নানা রকম ফসল উৎপাদন সম্ভব। প্রয়োজন কৃষিভিত্তিক ভিন্ন কারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্কারসহ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে জেলাকে।

তিনি আরো বলেন, নেত্রী তরুন প্রজন্মের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চান। আমাকে মনোনয়ন দিলে ঠাকুরগাঁওকে অর্থনৈতিক জোন পরিনত করার জন্য কাজ করবো ও জনগণের দাবি গুলো পূরণ করার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত