ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও

মাঠে নেই, ভোটে আছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা!

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:২৩  
আপডেট :
 ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:২৮

মাঠে নেই, ভোটে আছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও জেলার ৩টি আসনে আওয়ামী লীগের ৩০ জন নেতা-সমর্থক দলের মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। বিএনপি থেকেও মনোনয়ন ফরম কেনার হিড়িক পড়েছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক মাঠে না থাকলেও ভোটের মাঠে উপস্থিত হয়েছেন অনেকে। এ কারণে ধারণার তুলনায় অনেক বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ থেকে। নতুন অনেক মুখ মনোনয়ন প্রত্যাশায় দলের ফরম কিনেছেন। ফলে দলে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাকর্মীরাও এখন মাঠে নেমেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসন থেকে ১৪ জন, ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর ও রানীশংকৈল আশিংক) থেকে ১১ জন, ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল আশিংক) আসন থেকে ৫ জন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীরা জানান, জেলায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পত্র থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া অনেক নেতাই ধরে মাঠে নেই।

এমনি কি এলাকায়ও আসেন না। অথচ দলে বিতর্কিত ও নিষ্ক্রিয় কিছু নেতাকর্মীকে নিয়ে অনেকেই মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। এই ৩টি আসন থেকে মনোনয়ন কেনা আরো একাধিক ব্যক্তি রাজনীতির মাঠে একেবারেই ‘অচেনা’।

ঠাকুরগাঁও আসনের প্রবীন রাজনৈতিক আফসার আলী জানান, বর্তমান সাংসদ এলাকায় উন্নয়ন কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছে সত্যি। কিন্তু উনার বয়স হয়েছে তাই নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন এবার নেত্রী সেদিক বিবেচনা করে প্রার্থী মনোনয়ন দিবেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কাকে জয়ী করে আনবো।

এদিকে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে ১১ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে বিব্রত স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই মনোনয়ন ফরম কেনাদের মধ্যে হাতেগোনা তিন-চারজন বাদে বাকিরা মাঠে ছিলেন না বলে মন্তব্য স্থানীয়দের।

এক পরিবার থেকেই পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন কেনা নিয়ে রয়েছে আলোচনা। তাছাড়া নতুন মুখ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার বিষয়ে এমপি’র ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি এবং আমার পরিবার আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। আমি পদে আছি। মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে। আর এই আসনে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই আমি মনোনয়ন ফরম কিনেছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমি তার পক্ষে তখন কাজ করবো। ইতোপূর্বেও নৌকা পক্ষে কাজ করেছি। এবার যদি মনোনয়ন নাও পাই, যে পাবে তার পক্ষেই কাজ করবো।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৫ জন। ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সইদুল হক, তাঁতী লীগের রবিউল ইসলাম রবি ও সুজাউল করিম সুজা। মাহজোট থেকে জাপার হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন।

নৌকা প্রাণের প্রতীক উল্লেখ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এই আসনের তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীরা চান ১৭ বছর পর অন্তত এই আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হোক। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে পীরগঞ্জের প্রার্থী জয়ী হন। আমরা চাই ফের সেই ইতিহাস ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। নৌকা আমাদের প্রাণের প্রতীক। মহাজোটের পক্ষ থেকে যাকেই মনোনয়ন দেবে আমরা কাজ করবো। কিন্তু আমরা অন্তর থেকে চাই, নৌকা প্রতীকের জন্য কাজ করতে।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ সংগঠনের মনোনয়ন ফরম অন্যদের তুলনায় একটু বেশি বিক্রি হতেই পারে। তবে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত