ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। কয়েক বছর আগে তার মেয়ের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নে ফল পরিবর্তিত হয়ে সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।

এই আইনজীবী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘টাকা-পয়সা’ নিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দিতে এসব ‘অনিয়ম’ করেন।

তার অভিযোগ, ওএমআর উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় কম্পিউটারে ভুল উত্তর সেট করে রাখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর ওই উত্তর তাদের পছন্দের লোকদের আগেই জানিয়ে দেয়। যে টাকা-পয়সা দিয়ে সন্তানকে ভর্তি করাবে, ভুল উত্তরটা তাকে দিয়ে দেয়। কিন্তু আপনার ছেলে-মেয়ে সঠিক উত্তর দিলেও কম নম্বর পাবে, তারা সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। এরকম ষড়যন্ত্র তারা করে।

ইউনুছ আকন্দ বলেন, ২০১২ সালে তার মেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ফেইল’ করলে তার উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নে ফলের পরিবর্তন ঘটে। তখন আদালতের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উত্তর পুনর্মূল্যায়নে ওই সব অনিয়ম ধরা পড়ে।

তার মেয়েকে ‘ষড়যন্ত্র’ করে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ফেইল’ করানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন বিভিন্ন সময় জনস্বার্থে রিট আবেদনকারী এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, ওই বছর ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন। আদালতের রায় তার পক্ষে আসায় মেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ হয়।

তিনি বলেন, মেয়ের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করলে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর সরকার বাধ্য হয়ে আমার মেধাবী মেয়েকে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায় এবং আমাকে আদালতের নির্দেশে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হয়।

মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের ৫ নম্বর না কাটার বিষয়ে হাই কোর্টের রায় বহালের দাবিতে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন ইউনুছ আকন্দ।

এদিকে আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এক প্রস্তুতি সভার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে কমিটি প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে কেন্দ্রে পৌঁছানো পর্যন্ত মনিটরিং করছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত আগস্টে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের নম্বর কাটার ঘোষণা দিলে তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ইউনুছ আকন্দ।

রিটের শুনানি শেষে হাই কোর্ট গত ১২ সেপ্টেম্বর রুল দিয়ে ওই ৫ নম্বর টাকার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। এরপর সরকার ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদেশটি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন রাখেন।

দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিতের অনুরোধ জানান তিনি।

মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আনিসুর রহমান, আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব নাছিমা আক্তারসহ একাধিক অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত