ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পান চাষে স্বাবলম্বী ৩০ পরিবার

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৯

পান চাষে স্বাবলম্বী ৩০ পরিবার

দিনাজপুরের খানসামা দীর্ঘ দিন ধরে বংশীয় পমম্পরায় পান বরজ চাষ করে ৩০টি পরিবার আজ স্বাবলম্বী। উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নে এই পানের বরজ তুলনা মূলক বেশি। স্থানীয়রা এই পান চাষকে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া আর্শীবাদ মনে করে।

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন পান চাষে। গেল ১০ বছর পূর্ব থেকে বর্তমানে উপজেলায় পানের আবাদ বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানান যায়, এ বছর উপজেলায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে ১০ একর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার দুবলিয়া গ্রামেই ৯৫ ভাগ পান চাষ করা হয়। বর্তমানে উপজেলার ৩০টি পরিবার এই পান চাষের সাথে জড়িত।

পান চাষী ক্ষিতিশ রায় বলেন, খানসামা উপজেলায় দুই প্রকার পান চাষ হয়, মিষ্টি পান ও সাচি পান। তবে উপজেলায় মোট চাষের ৮০ ভাগই মিষ্টি পান ।

রঞ্জন রায় নামে এক পান চাষি বলেন, পান চাষ করেই আমাদের সংসার চলে, আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই পানের বরজে কাজ করি। ২৭ বছর ধরে পানের বরজ করে আসছি। বর্তমানে ২৩ শতক জমিতে পানের বরজ রয়েছে। প্রতিহাটে সপ্তাহে (দুইদিন) ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার পান বিক্রি করি।

দুবলিয়া গ্রামের পান চাষী রমনী রায় জানান, এখানকার সব পরিবার এক সময় ব্যবসা আর শখের বসে শতাধিক পানের বরজে পান চাষ শুরু করেন। গ্রাম কিংবা শহরে অতিথি আপ্যায়নে এ পানের এখনো চাহিদা রয়েছে। চুন ছাড়া পান পাতার রস আর কাঁচা সুপারির রস হার্টের উপকারিতা ছাড়াও ছাঁচি পানের রস দিয়ে যৌনরোগের ওষুধ তৈরি করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্রামের কবিরাজরা বেশ নাম রেখেছে।

দিনাজপুর থেকে দুবলিয়া গ্রামে পান কিনতে আসা এক পান ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, এখানকার পান সুস্বাদু হওয়ায় এ পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফজাল হোসেন পানের বরজ সম্পর্কে বলেন, খানসামার মাটি পান চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত হওয়ায়, এখানে দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির পানের চাষ করে চাষিরা। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনেক পানের চাষ করেছে। প্রতি বছর পানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

এছাড়াও উপজেলার উৎপাদিত পান এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদনের ৭০ ভাগ পান যাচ্ছে আশেপাশের এলাকাগুলোতে। তাই এলাকার এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, সরকারের নজরদারি থাকলে পান চাষে আগ্রহী এসব পরিবার আর্থিক লাভবানের মধ্যদিয়ে তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত