ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

খুলনায় ঈদের আগেই অস্থির মসলার বাজার

  খুলনা সংবাদদাতা

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৩২

খুলনায় ঈদের আগেই অস্থির মসলার বাজার

পবিত্র কোরবানির ঈদ আসতে আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকী। এরই মধ্যে খুলনায় অস্থির হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। এক সপ্তাহ আগে আদার কেজি ছিলো ৯০-১০০ টাকা। এখন তা কেজি প্রতি ৪০-৬০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকা। এভাবে প্রতিটি মসলার দাম বেড়েই চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকেই সক্রিয় হচ্ছে মসলা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আগে থেকে বাজার তদারকির আহবান জানিয়ে আসছে।

নগরীর দৌলতপুর, আড়ংঘাটা, ফুলবাড়ীগেট ও খালিশপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারীতে যে আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা ছিলো সেটি খুচরায় ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজার ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ ১২০০, জিরা ৩৭০ ও ধনে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেয়াজ ৪৮ থেকে ৫০, দেশি রসুন ৯০, আমদানি করা চীনা রসুন ১০০ থেকে ১১০ ও আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে দাম বেড়েছে এমনটি জানায় বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ঝাল কমবেশি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মসলা সিন্ডিকেট এবার টার্গেট করেছে রসুন, পেয়াজ, ও মসলাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, কুরবানির ঈদে প্রায় সব মসলার দামই বাড়তি থাকে। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাজারে এবার উত্তাপ ছড়াবে রসুন, পেয়াজ ও মসলাতে এ আশঙ্কা করা হচ্ছে। মসলা আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের আলোচনাতেও এ তিনটি পণ্যের সাথে যোগ হতে পারে সয়াবিন তেল, শুকনা মরিচ ও হলুদ, জিরাসহ অন্যান্য মসলা জাতীয় পণ্যের। অবশ্য এরই মধ্যেই এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কুরবানির ঈদের আগে এসব পণ্যের দাম আর কমবে না।

জানা গেছে, মসলা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য থাকে সারা বছরের লাভ। কুরবানির ঈদের সময়ও গরম মসলার চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। সঙ্গে পেয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাচা ও শুকনা মরিচের চাহিদাও বাড়ে। চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানিও বাড়ান। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জোগানও বাড়ে। কিন্তু বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ইচ্ছেমতো এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারো তেমনটিই ঘটতে যাচ্ছে। রোযার ঈদের মসয় মসলার দাম সেই যে বেড়েছে, তা এখনো পর্যন্ত কমেনি। দিনে দিনে দাম কেবল বাড়ছেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগস্টের মাঝামাঝি থেকেই মসলা ও বিভিন্ন পণ্যের দাম আরা বাড়তে শুরু করবে বলে তারা ধারণা করছেন। সে ক্ষেত্রে এলসি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া আগে থেকেই শুরু করতে হয়। কুরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বাড়ার কারণে আমদানি ও সরবরাহ বাড়াতে হয়। এ কারণে অনেক সময় বাড়তি দামেও এসব পণ্য আমদানি করতে হয়। এবারো চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে আমদানি হচ্ছে। ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই ।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতের বাজারে মসলার দাম গত বছরের মতো এবারো বাড়তি। এই প্রভাব দেশের বাজারে পড়তে পারে। তবে সবকিছু বলা যাবে আগস্টের শেষ দিকে।

নগরীর বড় বাজারে আসা ক্রেতা হুমায়ুন কবীর বলেন, ঈদ উল ফিতরের আগেই মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা বাঁচবো কি করে।

মুদি ব্যবসায়ী আনন্দ সাহা বলেন, প্রত্যেকটি মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে মসলার দাম আরো বাড়বে।

নগরীর বড় বাজার এলাকার মেসার্স সবুর স্টোরের মালিক মো. বাবুল বলেন, ঈদের আগেই জিরা, এলাচি, লবঙ্গ, গোলমরিচের দাম এক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে দাম আরো বাড়বে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত