ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শার্শায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কার পকেটে

  বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৮, ১৮:১৭

শার্শায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কার পকেটে

যশোরের শার্শা উপজেলার টিআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় উপবৃত্তির টাকা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, একজন সহকারী শিক্ষক, অগ্রণী ব্যাংক, বেনাপোল শাখা ও শিক্ষা অফিস জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে শার্শা উপজেলার টিআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মাথাপিছু ১ হাজার ৮০ টাকা করে ৭০ জনের ৭৫ হাজার ৬ শ‘ টাকা ও দশম শ্রেণির মাথাপিছু ১ হাজার ৯৫০ টাকা করে ৬২ জন শিক্ষার্থীদের নামে ১ লাখ বিশ হাজার ৮ শত উপবৃত্তির টাকা বরাদ্দ আসে। টিআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, ব্যাংক ও শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মিকাইল হোসেন বিদ্যালয়ের বিতরণ শিট ঠিক রেখে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ লাখ ৪২ হাজার উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করেন। বাকী অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৫৪ হাজার ৪শ‘ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্বাক্ষর করে আত্মসাত করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূক্তভোগি এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবার টাকা পায় কিন্তু এ বছর টাকা পায়নি। স্কুলে গেলে মাষ্টাররা বলেন আপনার মেয়ে টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করায় তার আর টাকা আসেনি। পরে জানতে পারি শুধু আমার মেয়ের টাকা নয় অনেক মেয়ের টাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যাংক ও শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করেছে।

এ ব্যাপারে টিআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করার দায়িত্ব পালন করেন সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মিকাইল হোসেন। তারাই বিতরণ করেন। তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবেন। সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মিকাইল হোসেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

অগ্রণী ব্যাংক, বেনাপোল শাখার ম্যানেজার বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

//আরএস//

  • সর্বশেষ
  • পঠিত