ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রিলি থেকেই কোটা দাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৫  
আপডেট :
 ২২ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৬

প্রিলি থেকেই কোটা দাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটি।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীন ও দপ্তর সম্পাদক আহমাদ রাসেল এবং ঢাকা মহানগর সভাপতি ও শহীদ সংসদ সদস্য নূরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা এক বিবৃতিতে এ ধন্যবাদ জানান।

বিবৃতিতে প্রিলিমিনারী থেকেই ৩০ শতাংশ কোটা শতভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা বহাল থাকার ঘোষণা দিয়ে আবারো প্রমাণ করেছেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আশা-আকাঙ্খার শেষ আশ্রয়স্থল। তিনিই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার হাতেই দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিরাপদ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।

তারা বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতার হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের যেকোন সংকটে তার কন্যা শেখ হাসিনা সংকট সমাধানের ঢাল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা তথাকথিত সুশীল ব্যক্তি ও দু’একটি পত্রিকা প্রতিক্রিয়াশীলদের পক্ষ নিয়ে নিজেদের জনপ্রিয় করার অপচেষ্টা করেছেন। এবারও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ইন্ধনে তথাকথিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যখন কিছু যুবক রাস্তায় নেমে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি ও খিস্তি-খেউর করছিল। তখন ওই সুশীলরা ওদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন টিভি টক শোতে গিয়ে আগুনে ঘৃত ঢালায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। অথচ এরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে একেকজন আঙ্গুল ফুঁলে কলা গাছ হয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এসব সুশীল, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও চেতনা ব্যবসায়ীদের জাতিকে আর বিভ্রান্ত ও বিভক্ত না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার আহবান জানান। বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তাদের ৬ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। দাবিগুলো হলো- ১. জাতির পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের শাস্তি দিতে হবে। ২. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে ও ভুয়াদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। ৩. প্রিলিমিনারী থেকে কোটা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৪. মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্য পদ সংরক্ষণ করে বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। ৫. প্রশাসন থেকে রাজাকার ও তাদের বংশধরদের বের করতে চিরনী অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং ১৯৭২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্য পদগুলোতে চলতি বছরেই নিয়োগ দিতে হবে।

এসআইএস/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত