ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশ কর্মকর্তার চোখে যেভাবে ফাঁস হয় প্রশ্ন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৫  
আপডেট :
 ২৮ মার্চ ২০১৮, ২০:১৬

পুলিশ কর্মকর্তার চোখে যেভাবে ফাঁস হয় প্রশ্ন

সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্ন ফাঁস একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সমাধান করা যায়নি। তবে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস কী কী উপায়ে হতে পারে, সে বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম। তিনি পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটিরও সদস্য।

এই পুলিশ কর্মকর্তা মনে করছেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নগুলো যেখানে ছাপা হয়, সেই বিজি (বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট) প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁসের বড় সুযোগ রয়েছে। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘প্রশ্ন ফাঁস রোধে করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজি প্রেসের এক কর্মচারীকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ গ্রেপ্তারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রতিটি প্রশ্ন ম্যানুয়ালি গুণে গুণে প্যাকেট করা হয়। তাই সেই কর্মচারী বলেছে, এভাবে প্রশ্নপত্র গুণে গুণে প্যাকেট করার সময় তারা ভাগ করে প্রশ্ন মুখস্থ করত এবং প্রেস থেকে বেরিয়ে তা লিখে রাখত। এভাবে অন্যদের মুখস্থ মিলিয়ে কোচিং সেন্টারগুলোতে প্রশ্ন বিক্রি করত। তিনি বলেন, এভাবে ১৫/২০ দিন একটি কাজ করলে অনায়াসেই সেই প্রশ্নের সবকিছু আয়ত্তে এসে যায়।

দেশ ডিজিটাল হলেও বিজি প্রেস এখনও ডিজিটাল হয়নি উল্লেখ করে নাজমুল আলম বলেন, বিজি প্রেস সরেজমিন পরিদর্শন করে আমি দেখলাম, যে রুমে প্রশ্নপত্র ছাপা হয় সেই রুমের সিসি ক্যামেরা পুরো রুম কভার করে না।

প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরীক্ষার আইন সংস্কারের সুপারিশ জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের পাবলিক এক্সামিনেশন অ্যাক্টে আসামিকে ২-১ দিনের বেশি রিমান্ডে নেয়া যায় না। এজন্য প্রশ্নফাঁসকারী এক চক্রের পাঁচ স্তরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু বাকি স্তর পর্যন্ত পৌঁছা যায়নি।

পরীক্ষা কেন্দ্র কমানোর পরামর্শও দেন নাজমুল। তিনি বলেন, মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এখনও রাজনৈতিক বিবেচনায় পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। মহানগরগুলোতে মনিটরিং করার মতো যথেষ্ট লোকবল থাকে। তবে মহানগরের বাইরে কেন্দ্রগুলো অনেক দূরে এবং এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে যেতে সময় বেশি লাগে, ফলে মনিটর করার যথেষ্ট লোকবল থাকে না।

এদিকে ২ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

আরো খবর:

বিসিএস ক্যাডার হতে চাইলে যা করবেন

অনার্স-মাস্টার্স কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত