ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

৫ বছর বেশি চাকরি করে ফেঁসে গেলেন শিক্ষক

৫ বছর বেশি চাকরি করে ফেঁসে গেলেন শিক্ষক
প্রতীকী ছবি

সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে অবসর না নিয়ে ৫ বছর ২ মাস বেশি কাজ করেছেন এক শিক্ষক। তিনি হচ্ছেন নাজির আহমেদ। তিনি সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল নোয়াখালী চৌমুহনী সরকারি এসএস কলেজ।

সরকারি চাকরির নিয়ম হচ্ছে, অবসরে যাবার ২/৩ মাস আগেই পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরির জন্য নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে আবেদন করতে হয় চাকরিজীবীদের। তারা এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। এরপরই শুরু হয় ওই কর্মকর্তার অবসরে যাওয়ার কার্যক্রম। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম অধ্যাপক নাজির আহমেদ। তিনি তার অবসরে যাওয়ার বিষয়টি যথাসময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে জানাননি।

একাডেমিক সার্টিফিকেট অনুযায়ী অধ্যাপক নাজির আহমেদের জন্ম ১৯৫৩ সালের পহেলা জানুয়ারি। এই হিসেবে সরকারি চাকরিতে তার ৫৭ বছর শেষ হয়েছে ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু তিনি পিআরএল (অবসরোত্তর ছুটি) না নিয়ে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কাজ করেছেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট সময়ের চাইতে ৫ বছরের বেশি চাকরি করেছেন। আর এ সময় তিনি অতিরিক্ত ৩৪ লাখ ৮৮৩ টাকা ২৭ পয়সা বেতন নিয়েছেন। এখন তিনি পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরির আবেদন না করে অবসর ভাতার জন্য আবেদন করেছেন।

গত ৫ বছরে তিনি যে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন তা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়ে উপযুক্ত প্রমাণসহ তাকে পেনশন ও অন্যান্য পাওনাদির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে মাউশি অধিদপ্তর। কিন্তু নাজির আহমেদ এখনও ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেননি বলে জানা গেছে।

এদিকে বুধবার (২৫ এপ্রিল) নাজির আহমেদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে তার অবসর ভাতার জন্য আবেদন করেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হচ্ছে,‘আমি ভুল করে ৫ বছর ২ মাস বেশি চাকরি করেছি। আমি অবসরে যাওয়ার নিয়ম কানুন জানতাম না।’ এজন্য তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, ‘আমি যে কলেজে সর্বশেষ চাকরি করেছি, সেই কলেজ কর্তৃপক্ষও আমাকে কিছু জানাননি।’ তিনি ওই ৫ বছরে বেতন হিসেবে নেয়া সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর দিক থেকে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ২৭ আর অবসরের বয়স ছিল ৫৭ বছর। এই অবস্থা প্রায় ২০ বছর ধরে চলে। ১৯৯১ সালে ১৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। তবে অবসরের বয়স ৫৭ই থেকে যায়। ২০১২ সালে অবসরে যাওয়ার বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছরে উন্নীত করেছে সরকার।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত