ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরীক্ষার ফল বিড়ম্বনায় জাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

  জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৮, ১৬:০৪

পরীক্ষার ফল বিড়ম্বনায় জাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক পরীক্ষার ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।এতে বিপাকে পড়েছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কী কারণে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে এতো বিড়ম্বনা হচ্ছে তা বলতে পাচ্ছে না কেউই। ফলে একদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক ফলাফল ও বিসিএস পরীক্ষার পড়াশোনা নিয়ে রয়েছেন সংশয়ে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা ‘উইকেন্ড মাস্টার্স’ নিয়ে বেশি ব্যস্ত। নিয়মিত ছাত্রদের তারা উচ্ছিষ্টের চোখে দেখেন। শিক্ষকদের সদিচ্ছার অভাবকেই ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে না।

তারা বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে ফলাফলের বিষয়ে কথা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কোর্স ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন। এখনো শিক্ষকদের হাতে শিক্ষাজীবনের স্নাতকের (সম্মান) ভবিষ্যৎ জড়িত থাকায় তারা পুরোপুরি জিম্মি দশায় আছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষা গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭২ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ করতে পারিনি বিভাগটি। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় কোন চাকুরির পরীক্ষার আবেদন করতে পারছেন না ওই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে সংক্ষুদ্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এখনো বিভাগ থেকে ফলাফল পাইনি। আমরা কোনো চাকরিতে আবেদনই করতে পারছি না।

শিক্ষার্থীরা জানান, চাকরিতে স্নাতক (সম্মান) যোগ্যতা ছাড়া আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। এতে তাদের জন্য চাকরির বাজার খুবই ছোট হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক তানিয়া শারমীন বলেন, স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার একটা কোর্সের খাতা আটকে আছে বলে ফলাফল হচ্ছে না। এটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে। এটা তো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়ন্ত্রণ করবেন। কোর্স শিক্ষক যদি খাতা জমা না দেন তাহলে সভাপতির কিছু করার নেই। এখানে তো এমন নিয়ম নেই যে আমি পুলিশ দিয়ে খাতা নিয়ে আসব।

ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. অসিত বরণ পাল বলেন, ‘এর জন্য ওই বিভাগই দায়ী। পরীক্ষা অফিসে রেজাল্ট পাঠানোর পর তিন-চার দিন লাগে সব কাজ শেষ করতে।বিভাগ যদি না করে তাহলে পরীক্ষা অফিসের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। পরীক্ষা অফিস অনুরোধ করতে পারে। আমি মৌখিকভাবে অনেকবার অনূর্ধ্ব করেছি। না প্রকাশ হলে আমার কী করার আছে।’

বিএএফ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত