ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিয়োগে আর কত বিলম্ব?

  নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৮, ০৮:১৯

নিয়োগে আর কত বিলম্ব?

চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ৩৬তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের গেজেট হয়নি। তা ছাড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করতে এ পর্যন্ত পেরিয়ে গেছে প্রায় ৩৯ মাস। নিকট অতীতের অন্য কোনো বিসিএসে এত দীর্ঘ সময় লাগেনি। নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ প্রার্থীরা দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের ৩১ মে দুই হাজার ১৮০টি পদের জন্য ৩৬তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করে বিপিএসসি।

এরপর প্রাক-বাছাই, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য গত ৯ নভেম্বর পিএসসি সুপারিশ পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এতে দুই হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। দীর্ঘ এ প্রক্রিয়ায় ৩৯ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নিকট অতীতের অন্য কোনো বিসিএসের নিয়োগে এত দীর্ঘ সময় লাগেনি। পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোর সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২৮তম বিসিএসে ৩১ মাস, ২৯তম বিসিএসে ৩০ মাস, ৩০তম (বিশেষ) বিসিএসে ২৬ মাস, ৩১তম বিসিএসে ২৩ মাস, ৩২তম (বিশেষ) বিসিএসে ১৪ মাস, ৩৩তম বিসিএসে ২৯ মাস, ৩৪তম বিসিএসে ৪০ মাস (হাইকোর্টে রিটের ফলে স্থগিতাদেশ থাকায় প্রায় এক বছর সব কার্যক্রম স্থগিত ছিল) ও ৩৫তম বিসিএসে ৩৩ মাস সময় লাগে। আর ৩৬তম বিসিএসে ৩৮ মাস পেরিয়ে গেছে।

এদিকে, পর্যাপ্ত ক্যাডার পদ না থাকায় ৩৬তম বিসিএসের তিন হাজার ৩০৮ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে সুপারিশের জন্য উত্তীর্ণের তালিকায় রাখা হয়। ক্যাডারে নিয়োগের গেজেট না হলেও নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এরই মধ্যে সমাজসেবা অফিসার পদে যারা নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন, তারা গত ২১ মে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশকৃতদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন হয় ৩ জুলাই এবং তাদের ৫ আগস্টের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

সুপারিশপ্রাপ্তরা জানান, পিএসসি বর্তমানে দ্রুত সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রতিটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি থেকে নিয়োগ পর্যন্ত তিন থেকে চার বছর লেগে যাচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন দিতে দুই মাসের বেশি সময় কোনোভাবেই লাগার কথা নয়। অথচ প্রায় নয় মাসেও তা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানান, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। এ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত