ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বন্ধু থেকে শত্রু : পরিণতিতে হাসপাতালে ঢাবি ছাত্র

বন্ধু থেকে শত্রু : পরিণতিতে হাসপাতালে ঢাবি ছাত্র

শেখ আল আমিন। অপরজন হলেন রিফাত বেলায়েত। দুজনে বন্ধু ছিলেন। কিন্তু এখন তাদের মাঝে অনেকটাই শত্রুতার সম্পর্ক। এমন অবস্থায় ঘটে গেলে এক ঘটনা।

সহপাঠিনীর ক্ষোভের কারণে হাসপাতালে স্থান হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল আমিনের। এমনটিই বলছেন তাদের সহপাঠীরা।

আল আমিন ও রিফাত দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনার শিক্ষার্থী। আল আমিনের দাবি, তার সহপাঠী অন্যদের দিয়ে তাকে পিটিয়েছেন। তবে রিফাত বেলায়েত অস্বীকার করেছেন এই অভিযোগ।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, হবিগঞ্জের আল আমিনের সঙ্গে প্রথম বর্ষেই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় রিফাতের। তাদের মধ্যে ‘প্রেম’ ছিল বলেই মনে হয়েছে সহপাঠীদের। তবে এক বছর আগে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর নানা সময়ে আল আমিনের সঙ্গে রিফাতকে দুর্ব্যবহার করতেও দেখেছেন সহপাঠীরা।

গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটে আল আমিনের উপর হামলার ঘটনা। ওই দিন সূর্যসেন হলের ব্যাডমিন্টন কোর্টের সামনে আল আমিনকে পেটায় কয়েকজন। তখন রিফাতও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আল আমিন বলেন, আমি এক বিদেশি বন্ধুকে সূর্যসেন হল দেখাতে নিয়ে যাই। ব্যাডমিন্টন কোর্ট পর্যন্ত আসলে দুটি মোটরসাইকেল আমার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং পথরোধ করে। এরপর রিফাত আমাকে দেখিয়ে দেয়। প্রায় ১৫ জন ছিল ওর সাথে। আমাকে ওরা কিল-ঘুষি মারতে মারতে মাথায় আঘাত করা শুরু করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। বর্তমানে মাথা ও স্প্যাইনাল কর্ডে জখম নিয়ে হাসপাতালে আল আমিন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখেছি, এটা ব্যক্তিগত বিষয়। তাই আমরা তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি।

ঘটনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে রিফাত বলেন, এক বছর আগে আল আমিন আমার বাসায় এসে আমাকে মারে। আমি তাকে আটকাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মা তাকে ছেড়ে দেয়। তার প্রতি আমার ক্ষোভ ছিল। আমি যখনই তার কাছে কিছু বলতে যাই, সে আমাকে অপমান করে, টিজ করে, ফলে আমার রাগ বেড়ে যায়।

সেদিন ও (আল আমিন) আগে ক্লাসে আসে, আমি পরে আসি। সে এমন মুখভঙ্গি করে যে আমার রাগ বেড়ে যায়। সেদিন রাতে তার সাথে আমার শ্যাডোতে দেখা হয়। আমি তাকে বলি, তুই আমার সাথে এমন করিস কেন?

এরপর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার দিকে তেড়ে আসে। আমি চিৎকার করি। তখন আশেপাশের ছেলেরা এসে ওকে মারছে। আমি ছিলাম ওখানে। আল আমিনের উপর হামলাকারীদের কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেন রিফাত।

এদিকে আল আমিনের উপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবিতে তার সহপাঠীরা বুধবার উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে রিফাত আবার নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে একটি আবেদন করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত