ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

২ বছরে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৮, ১২:১০  
আপডেট :
 ১৯ জুলাই ২০১৮, ১২:১৫

২ বছরে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক

গত দুই বছরের ব্যবধানে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়েছে। এ বছর মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬২। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৭৬।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরপরই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তিনি জানান, ২০১৮ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের সাথে আগের দুই বছরের পরীক্ষার ফল তুলনা করে দেখা যায়, টানা দুই বছরের মতো এই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।

২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী। এরপর ২০১৭ সালে এসে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে ২০ হাজার ৩০৭। সে বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। এ বছরে এসে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও ৮ হাজার ৭০৭ জন কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। সেই হিসেবে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এর আগে ২০১৬ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল আগের বছরের তুলনায়। ২০১৫ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। সেই হিসেবে ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছিল ১৫ হাজার ৩৮২ জন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করার সময় শিক্ষামন্ত্রী জানান সারাদেশে পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন। ছেলেদের পাসের হার ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, মেয়েদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৫তম দিনে ফল প্রকাশ করা হলো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসাইন।

এ বছর সারাদেশের ২,৫৪১টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। গত ২ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম)-এ ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিআইবিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯। এছাড়া বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র ও ১৪০ জন ছাত্রী রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত