প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির বিধান চালুর প্রস্তাব
আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে জেলা প্রশাসক সম্মেলন। সেখানে মাদক সমস্যা, শিক্ষা সংকট, সড়ক দুর্ঘটনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৃষ্ট নৈতিক অবক্ষয় থেকে শুরু করে কৃষিসহ সব সেক্টরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। ডিসিরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে তাঁদের প্রস্তাব ও সুপারিশ লিখিত আকারে পাঠিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বদলির প্রস্তাবও।
এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরের প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে উন্নীত হলেও তাদের বদলি বিধান নেই। ফলে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয়। সে জন্য প্রাথমিক স্তরের প্রধান শিক্ষকদের তিন বছর পর পর বদলি বিধান চালু করা যেতে পারে।
এছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়োগ এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। আগামী ২৪-২৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় জেলা প্রশাসক সম্মেলনকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলার ডিসিরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তার মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের মতে, প্রতিষ্ঠান প্রধান (অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক) ও অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ করায় নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অনিয়ম বন্ধে এনটিআরসিএর মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে এবং অভিবাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। এই সঙ্কট মোকাবেলায় সকল সরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে।
এতে আরো বলা হয়েছে, জেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজগুলোতে বিভিন্ন বিষয় খোলা হলেও সকল ক্ষেত্রে বিষয়-ভিত্তিক শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়নি। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজগুলোতে সকল বিষয়-ভিত্তিক শিক্ষকের পদ সৃজন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার যেতে পারে।