ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০, প্রশ্নে ভুল ৮২!

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৬:৪৪  
আপডেট :
 ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১১:৪৫

পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০, প্রশ্নে ভুল ৮২!

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার পঞ্চম শ্রেণির গণিত বিষয়ে ১০০ পূর্ণমানের ১১টি প্রশ্নে ৮২টি ভুলের সন্ধান মিলেছে। ভুল ছিল অন্যান্য বিষয়েও।

এমন ভুল প্রশ্নেই ৬ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ১৭৭টি সরকারি ও ৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৪২ হাজার ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়।

ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান, পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ১নং প্রশ্নের ‘ড’ ক্রমিকে প্রশ্ন করা হয়েছে ‘১৫ মিনিট সমান কত সে.মি?’ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটি একটি আজব প্রশ্ন; যার উত্তর কারও জানা নেই। সব প্রশ্নের মানবণ্টন নেই। ‘খ’ ক্রমিক প্রশ্ন অসম্পূর্ণ বাক্য। ১নং এর ঘ, ঢ, থ, ৪নং এর ক, ৫নং এর খ, ৬ এর ক, অথবা’র ক, ৮ এর গ, ১০নং ও ১০নং এর ক, অথবা’র ক, ১১নং এর খ ও গ ক্রমিকে ‘দাঁড়ি’ এর স্থলে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে।

জ্যামিতির ৬নং ক্রমিকে ১২ সেন্টিমিটারের চেয়ে ১০ সেন্টিমিটারের বাহু অঙ্কন করা হয়েছে দীর্ঘ। অঙ্কন সঠিক হয়নি, তথ্যও অস্পষ্ট। র’র আধিক্য বেশি। ভুল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে শ্রেণি, গনিত, ব্যবহৃার, শত্যব্দী, চাকুরী জীবী, মিটারে, ডে.সি এ, ডে.সি মি, তেমার, রূপান্তার, টায়ং, আধিবর্ষ, জম্ম, মিটির, ফেব্রুয়ারী, পৌছে, ম্যচের, সামান্তরীক।

১১নং সারণিতে চিত্রাঙ্কন আঁকাবাঁকা, সারণি শিক্ষার্থী ও ওজনের অংশে তথ্যবিভ্রাট রয়েছে। বানান ভুলে বদলে গেছে বাক্যে শব্দের অর্থও। যেমন আয়তের স্থলে আয়েতের, তাদের স্থলে তাদেরও, গাড়িটির স্থলে গাড়ি টি, টাকার স্থলে টাকায়, উচ্চতা এর স্থলে উচ্চতার, হতে এর স্থলে হাত, সংখ্যা এর স্থলে সংখ্যা, বোর্ড এর স্থলে বোর্ডেও, ব্যাসার্ধ এর স্থলে ব্যাসার্ধেও, সকাল এর স্থলে সকলে। পঞ্চম শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্নেও ভুলের ছড়াছড়ি।

ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ প্রসঙ্গে গাঁওগৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আরফান আলী জানান, সব প্রশ্নে ছোটবড় অনেক ভুল আছে, সেগুলো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জাগরণী পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর চন্দ্র চাকী বলেন, ভুল ছিল। যেগুলো সম্ভব তাৎক্ষণিক সংশোধন করে দিয়েছি। যেসব প্রশ্নে বাক্য অসম্পূর্ণ ছিল বা প্রশ্ন হয়নি, সেক্ষেত্রে নতুন প্রশ্ন দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রশ্ন কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রশ্ন আমরাই করেছি। তবে ভুল হয়েছে এ কথা কেউ বলেনি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত