ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস যেন গবাদিপশুর অবাধ চারণক্ষেত্র

  নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৪

নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস যেন গবাদিপশুর অবাধ চারণক্ষেত্র

গরু-ছাগলের অবাধ চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পুরো ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেখা গেলেও মেলেনি তার কোনো প্রয়োগ। অচিরেই দেখা মেলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো গাছপালা নষ্ট করার দৃশ্য।

প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের বাউন্ডারির ভেতর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গরু-ছাগলের চলাচল এবং সেখানে থাকা গাছপালা খাবার দৃশ্য দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীরের ভেতর এ গরু-ছাগলগুলো কোত্থেকে আসে, এদের মালিক-ই বা কারা? এ দৃশ্য শুধু যে গোলচত্বরের, তা নয়। ক্যাম্পাসের চলাচলের রাস্তায়, অডিটোরিয়ামের চারপাশে, মাঠে, ধানক্ষেতে, হলের আশে-পাশে, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডর্মেটরি সবখানেই একই দৃশ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, 'প্রায় প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভর্তি পরীক্ষার আগে একটা বড় অঙ্কের টাকার গাছপালা লাগানো হয়। কিন্তু এ সব গবাদিপশুর অবাদ বিচরণের ফলে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠেছে।'

নোবিপ্রবি'তে কর্মরত আনসার ও মালিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চড়ে বেড়ানো এই পশুগুলো নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামানের বাংলোর। তবে উপাচার্যের বাংলোর গরুর সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউই এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি। কেউ বলে ৬ টা, কেউবা ৯। কেউ আবার বলেন ৩টা।

তবে বিশেষ সূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের অজান্তেই তার নাম ব্যবহার করে কিছু কর্মচারী অনৈতিক উপায় টাকা উপার্জন করছে।তারা বাইরে থেকে আসা গরুগুলোকে উপাচার্যের গরু বলে চালিয়ে দিচ্ছে এবং এসব পশুর মালিকের থেকে দেখভাল বাবদ চাঁদা গ্রহণ করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোমিনুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট এন্ড হাউজিং শাখায় খোঁজ নিলে তারা জানান, অবাধে ঘুরাঘুরি করা এ গরুগুলো বেশি ভাগই বাইরে থেকে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করে এগুলো ভিতরে প্রবেশ করছে। স্টেট শাখার পক্ষ থেকে ঐ গেটে একজন আনসার নিযুক্ত করার জন্য ঊর্ধতন প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে আসা এসব গবাদিপশু বিচরণ বন্ধ করতে অচিরেই ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত