ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে
ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা পাচ্ছেন শিক্ষকরা
৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা দেয়ার কার্যক্রম চলছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের এ সুখবর জানিয়েছেন। এটির ফাইল বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী। সভায় উপস্থিত শিক্ষক নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১টায়। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় শিক্ষক নেতারা বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি দাওয়ার বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করেন। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণের জন্য থোক বরাদ্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে এমপিও এবং সরকারিকরণ বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতারা আলোচনা করেন। সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া বৈঠকে একে একে শিক্ষক নেতাদের বক্তব্য শোনেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার নতুন প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে ‘ননএমপিও’ প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে অনলাইনে আবেদন আহবান করা হয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-কারিগরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ হাজার ৪ ৯৮টি আবেদন অনলাইনে জমা পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যাছাই-বাছাই চলছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে যাচাই-বাছাই চলবে। যাচাই-বাছাই করে এমপিওভুক্ত করা হবে।’ এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতা ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবসর কল্যাণ তহবিলের ৭৫৭ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত চিঠি আমরা হাতে পেয়েছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ও মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীর,শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুল হক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতা ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম ও আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকি, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলম সাজু, স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশসের সভাপতি মো. শাহজাহান খান,বাংলাদেশ মাদারাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদ এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজীসহ শিক্ষক-কর্মচারী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাদারাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদ বলেন, নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় কামিল/ফাজিল/আলিম/দাখিল মাদরাসা প্রশাসনিক (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, সহসুপার) পদে আরবি বিষয়সমূহে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা চেয়ে জেনারেল (নন অ্যারাবিক) শিক্ষকদের প্রশাসনিক পদ বঞ্চিত করা হয়েছে। নীতিমালার এ বিষয়গুলো সংশোধনের দাবি জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাৎক্ষণিক কিছু জানাননি।