ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

জাবিতে ‘ভুয়া প্রশ্নফাঁস চক্রের’ সদস্যসহ আটক ৩

  জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৯

জাবিতে ‘ভুয়া প্রশ্নফাঁস চক্রের’ সদস্যসহ আটক ৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তিন পরীক্ষার্থীকে ভূয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে জালিয়াতির চেষ্টাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী ও জালিয়াতি চক্রের ১ জন সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা সংলগ্ন সড়কে ভূয়া প্রশ্নপত্র লেনদেনের সময় তাদেরকে আটক করে প্রশাসন। তবে এই চক্রের মূল হোতা আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাকিব উল সাদাত ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ই আতাহার মেজবাহ। এছাড়াও জালিয়াতির চক্রের সদস্য আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটক আনোয়ার হোসেন নিজেকে গাড়ি চালক বলে দাবি করছেন এবং তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে জানান।

প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার মধ্যরাতে তিনজন পরীক্ষার্থীকে “সি” ইউনিটের প্রথম শিফটের (সকাল ৯টা) প্রশ্নপত্র সরবরাহের প্রলোভন দেখান ওই দুই ব্যক্তি। প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে তাদের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা লেনদেনের কথা হয়। এরপর ভোর ৫ টার দিকে ওই দুই ব্যক্তি পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠার মুহুর্তে মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র মাহবুবুর রহমান নীল ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই দুইজন ব্যক্তি ও গাড়ি চালককে আটক করে গণপিটুনি দেন।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জালিয়াতি চক্রের তিন জনকে আটক করেন। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে আটকে রাখা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় জালিয়াতি চক্রের তিন জন সদস্যকে আটক করেছি। এই চক্রটি বহুদিন থেকে অপরাধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে কয়েকটি সরকারী পরীক্ষার প্রবেশ পত্র পাওয়া গেছে। এছাড়াও ১৪ লাখ টাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি চেক পাওয়া গেছে।’

ভ্রাম্যমাণ আদালত বসেছে। পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত