ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বিলম্বের কারণ জানালেন গণশিক্ষামন্ত্রী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৯  
আপডেট :
 ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩০

যে কারণে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বিলম্ব

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবার একসঙ্গে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তিনি বলেছেন, ‘রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর আবেদন ও পরীক্ষার হল সংকটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১-৩০ আগস্ট অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। মোট ২৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭ জন আবেদন করেছেন। এর আগে সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। সে হিসাবে এবার প্রার্থী দ্বিগুণ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে চায়। এর কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা আর জানুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এবারে চলতি দায়িত্বের ২২ হাজার প্রধান শিক্ষক স্থায়ী নিয়োগ পাবেন। প্রস্তাবিত নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।’

দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার আরো বলেন, ‘মামলার কারণে দীর্ঘদিন রাজস্ব খাতের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায়নি। যার ফলে অনেক পদ শূন্য থেকে গেছে। এবারে যে নতুন শিক্ষকরা আসবে তাদের যেন নতুন বছরে ক্লাসরুমে পাঠাতে পারি এটাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম এ মাসের মধ্যেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার কিন্তু সরকারি ক্রয় আইন (পিপিআর) অনুসরণ করে ওএমআর ফরমসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি কিনতে সময় একটু বেশি চলে গেছে। তাছাড়া নভেম্বর মাসজুড়ে দুটি বড় পরীক্ষা থাকায় এবার সারাদেশে একসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তাই পরীক্ষা ডিসেম্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

ইতিমধ্যে যাদের প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের স্থায়ী করা হবে বলেও জানান সরকারের এই গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

জানা গেছে, সর্বশেষ নিয়োগে সারা দেশে ৩ হাজার ৬৬২ কেন্দ্রে প্রাথমিক পরীক্ষা নেয়া হয়। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। কিন্তু উপজেলা-জেলা পর্যায়ে এত কেন্দ্র পাওয়া কঠিন। এ কারণে উপজেলা সদরের কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্র নির্বাচনের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসকরা কেন্দ্র ঠিক করে দিলে দুই তা ততোধিক জেলায় একসঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দিত ডিপিই। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রণয়ন করা হবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাসের পদ্ধতি উন্নয়ন বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শিক্ষক সংকটের কারণে এবার পরীক্ষা পদ্ধতি বদলানো সম্ভব হয়নি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ফিজার বলেন, ‘দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই এই নিয়োগটি দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। সে কারণে পরীক্ষা পদ্ধতি বদলানো সম্ভব হয়নি। তবে প্রার্থীর আবেদনে ন্যূনতম যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও বিদ্যমান পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন প্রার্থীরাই নিয়োগ পাচ্ছে। গত কয়েক বছরের রেকর্ডে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রার্থীই স্নাতক ডিগ্রিধারী।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত