ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

  রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৪৪

শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

পরে তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে ঘণ্টাব্যাপী মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই চার শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আটককৃতদের বঙ্গবন্ধু হলে মারধরের সময় মতিহার হল ও মমতাজ উদ্দীন ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আটককৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লিটন, দ্বিতীয় বর্ষের মুহাইমিন, সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাসিম হাসান ও আরবী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরুখ। এদের মধ্যে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারধরে তার পা রক্তাক্ত হয়ে যায় এবং দুই হাত গুরুতর জখম হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘শিবিরের ক্যাডাররা ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাড়ায় শোডাউন দিচ্ছে জানতে পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় কয়েকজনকে একসাথে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয়। আমাদের দেখে কয়েকজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আমরা ১০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চারজন শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।’

মারধরের পর পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় লিটন ও মুহাইমিনের সাথে কথা বললে তারা শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে বিকালে ঘুরতে এসেছিলাম। এ সময় সন্দেহবশত আমাদের আটক করা হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিনা কারণে আমাদের খুব মারধর করেছে। আমরা শিবির করি না।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘আমি যখন হলে আসি তখন আটককৃতসহ সবাইকে হল থেকে বের হয়ে যেতে দেখি। বহিরাগতদের আটক করে হলে নিয়ে এসে এভাবে আটকে রাখা আমার পছন্দ নয়।’ বঙ্গবন্ধু হলে শিক্ষার্থীদের বারবার শিবির সন্দেহে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না, বিষয়টি সরকার দেখবে।’

নগরীর মতিহার থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আটককৃতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’

বালাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত