ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রেসক্লাবে রাতের অন্ধকারে শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ!

রাতের অন্ধকারে শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ!

এমপিওভুক্তি অথবা পরবর্তী প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক বিভিন্ন দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।

এ ব্যাপারে এসিটি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন হোসেন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে পুলিশ শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে।

‘এ সময় সেখান থেকে মাগুরার দুলাল এবং ঝিনাইদহের জাফর নামে দুই শিক্ষককে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে রাত দুইটার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।’

‘অন্তত ১০ জন শিক্ষক পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশনের ব্যানারে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের ১০ মাসের বকেয়া বেতনসহ চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেয়া হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড একসেস এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) নামে এ প্রজেক্টে অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষক ম্যানুয়ালে দেওয়া হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির আশ্বাসও।

সেকায়েপ প্রজেক্টের এসব অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই এসিটি শিক্ষকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক।

কিন্তু মাসের পর মাস বিনা বেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা আজ ক্লান্ত। এখন তারা ক্লাস ছেড়ে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকদিন অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা।

ঝরে পড়া শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা, অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে কোচিং নিরুৎসাহিত করা, বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা। এসব শিক্ষকদের কারণে দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে পাসের হার বেড়েছিল। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২১৫ উপজেলায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্কুলে এসিটি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের আগে এবং প্রত্যেক শুক্রবার বা অন্য ছুটির দিনে ক্লাস নিতেন।

ওয়াইএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত