আর কত গড়িমসি করবে এনটিআরসিএ?
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:২২
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২০০৫ সালে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা হয়েছিল; কিন্তু সাফল্যের দ্বারে পৌঁছতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে কাজ করলে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা ও দুঃখ কমে যেত। দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে নিয়মিত শিক্ষাদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকের অভাব হলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা সঠিকভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে কয়েক লাখ নিবন্ধনধারী বেকার জীবন যাপন করছেন।
জীবনের প্রথম ও শেষ আশা হিসেবে অনেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু আদৌ সেই আশা পূরণ হবে কি না তাঁরা জানেন না। ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ২০১৬ সালে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাত্র কয়েক হাজার নিবন্ধিতকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমান যুগকে ডিজিটাল যুগ হিসেবে ধরা হচ্ছে, অথচ নিবন্ধিত কম্পিউটার শিক্ষকরা নিয়মানুযায়ী আবেদন করেছেন। কিন্তু তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও ফল প্রকাশ পায়নি। কম্পিউটার নিবন্ধিত বেকাররা কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ফল না পেয়ে আদালতে রিট করেন।
আদালত তাদের পক্ষে রায় দিলেও কর্তৃপক্ষ অজানা কারণে তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছে না। বেকারদের বোবাকান্না দেখার কেউ নেই। চূড়ান্তভাবে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পাস করেও নিয়োগ হয় না। ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীদের কপালে এমনই হয়েছে। গেজেট ও পরিপত্র অনুযায়ী শূন্যপদে ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীদের এখনো নিয়োগ হয়নি। দিন যায়, মাস যায়—নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আর আসে না। আর কত দেরি? আর কত গড়িমসি করবে এনটিআরসিএ? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না? এমন হাজারো প্রশ্ন বেকার শিক্ষক নিবন্ধিতদের মাথায় বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। বিষয়টি মানবিকভাবে দেখার জন্য আবেদন জানাই।