ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে প্রতি উপজেলায় বিশেষায়িত স্কুল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ২০:১৮

প্রাথমিকে প্রতি উপজেলায় বিশেষায়িত স্কুল

অটিস্টিকসহ দেশের প্রতিবন্ধী সব শিশুর জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ‘বিশেষায়িত প্রাথমিক বিদ্যালয়’ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। স্কুল প্রতিষ্ঠায় এরই মধ্যে 'ম্যাপিং' শুরু হয়েছে। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারাদেশে সার্ভে করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল করা হবে। অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়তাও প্রয়োজন। সে কারণে চারটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ স্কুলগুলো পরিচালনা করবে। খুব শিগগির স্কুল স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শুরু হবে’।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিবন্ধীদের সঠিক পরিসংখ্যানের জন্য ‘ডিজিবল ইনফরমেশন সিস্টেম’ নামে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্যভাণ্ডার করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে অটিজমে আক্রান্ত রয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭৫ জন। শারীরিক প্রতিবন্ধী ছয় লাখ ৯১ হাজার ৪৮৩ জন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক প্রতিবন্ধী ৫২ হাজার ৮৪৬ জন, শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছয় হাজার ৫১৫ জন, সেরিব্রাল পালসি ৬৯ হাজার ৯৩৪ জন, ডাউন সিনড্রোম তিন হাজার ৫৫ জন এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধী ১২ হাজার ৯১১ জন।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, চার মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজটি শেষ করতে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করবে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় এ কমিটি গঠন করা হবে। উপজেলা ও জেলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, স্কুলগুলোর পরিচালনাসহ অন্যান্য বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার মিরপুরে ১৫ তলাবিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে গার্লস, বয়েজ ও প্যারেন্টস ডরমিটরি রয়েছে। প্রকল্প শেষ হলে সেখানে অটিজম-সংক্রান্ত ও অন্যান্য বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্য ডরমিটরি, অডিটরিয়াম, ফিজিওথেরাপি সেন্টার, ডে-কেয়ার সেন্টার ও বিশেষ স্কুল থাকবে। আগামী বছরের জুন মাসে এ প্রকল্প শেষ হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত