ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

হৃদয়ের সংকটে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রলীগের

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৩৩  
আপডেট :
 ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৪২

হৃদয়ের সংকটে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রলীগের

মায়ের কোলে চড়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী হৃদয় সরকারের পড়াশোনার খরচ জোগানোর দায়িত্ব নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ। রোববার রাতে বাংলাদেশ জার্নালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, যেহেতু হৃদয় সরকার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় পড়ার সুযোগ পেয়েছে, তাই আমরা চাই না টাকা-পয়সা বা অন্য কোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতা তাকে আটকে রাখুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় তার পাশে আছে।

সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা হৃদয়ের ভর্তির খরচ দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার মা সে খরচ দিবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, আমরা যেন হৃদয়ের থাকা-খাওয়ার একটা ব্যবস্থা করে দেই। আমরা তাকে সেটার আশ্বাস দিয়েছি।

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমাদের জায়গা থেকে হৃদয়ের জন্য যতটুকু করা যায়, আমরা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তার জন্য কিছু করতে পারলে নিজেদেরকেই ধন্য মনে করব। এ সময় তিনি হৃদয়ের যে কোন সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ তার পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হৃদয় সরকার বলেন, সোমবার আমার সাবজেক্টের বিষয়ে জানানো হবে। সাবজেক্ট চয়েস, কোটার ফরম সব আজকে পূরণ করেছি। প্রথম পছন্দ দিয়েছি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আর দ্বিতীয় পছন্দ দিয়েছি সমাজবিজ্ঞান।

তিনি বলেন, অনেক যুদ্ধ করে সবার সহায়তায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। ছাত্রলীগ, লিংক ফর লাইফ, টিএনএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ভাই ও দাদারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। বিষয়ের পছন্দক্রম পূরণ করে আসার পর মধুর ক্যান্টিনে হৃদয় সরকার ও তার মাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

ছাত্রলীগের সহযোগিতার কথা জানতে চাইলে হৃদয়ের মা সীমা রানী সরকার বলেন, আমরা তাদের সহযোগিতার আশ্বাসে অনেক খুশি হয়েছি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমার ছেলের পড়াশোনায় যত খরচ লাগে তা বহন করবে বলেছে। তবে আমি চাই ভর্তির সময় যে টাকা লাগবে সেটা আমিই পরিশোধ করব। পরবর্তীতে কোনো দরকার হলে তাদের শরণাপন্ন হবো।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন নেত্রকোনার হৃদয় সরকার। তার মেধাক্রম ছিল ৩ হাজার ৭৪০। সেরিব্রালপালসি রোগে আক্রান্ত হৃদয় ছোটবেলা থেকে হাঁটতে বা চলাফেরা করতে পারেন না। সম্প্রতি মায়ের কোলে চড়ে ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিন'স কমিটির সভায় প্রতিবন্ধীদের নীতিমালা সংস্কার করে শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে হৃদয় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত