‘শিক্ষকদের উপর যারা আঙ্গুল তুলে শাসায়, তারা মানুষ নয়’
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৮, ১৪:৩৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, গতকাল শহীদ মিনারে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজক। যারা শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলে শাসায়, তারা মানুষ নয়।
সোমবার সকাল ১১টায় ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ কর্তৃক ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ও লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক সায়েমা আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক শেখ সামস মোরসালিন, প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তাতে লেখা- ‘শিক্ষকের মর্যাদা আজ কোথায়‘, ‘এবার তোরা ছাত্র হ’, ‘শিক্ষক আজ লাঞ্ছিত কেন?’ ‘আমার ক্যাম্পাস কার দখলে’, ‘মূল্যবোধ আজ কোথায়’ ইত্যাদি।
ছাত্রলীগকে ভাল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলেছে সরকার দলীয় একটি বিশেষ সংগঠন। তারা ছাত্র কিনা বা তারা তাদের সংগঠনের নীতি-আদর্শ মানে কিনা তা আমার জানা নেই। আর যারা শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলেছে তারা যে গর্হিত কাজ করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারা ছাত্র নামের কলঙ্ক।
বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন বলেন, তানজীম স্যার আমাদের কাছে বাবার মতো। একটি ন্যায্য দাবিতে দাঁড়ানোর কারণে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুধু তার উপরে নয়, অন্যান্য যে সকল শিক্ষকরা ছিলেন, তারাও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তাদের উপর আঙ্গুল তোলার সাহস ছাত্রলীগ কোথা থেকে পায়? এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশ শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে মধুর ক্যান্টিন, ডাকসু, কলাভবন, অপরাজেয় বাংলা প্রদক্ষিণ শেষে আবার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলের পেছনে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবুর নেতৃত্বে প্রায় ১৪-১৫জন নেতাকর্মীকে যেতে দেখা যায়। আপনারা এখানে কেন এসেছেন জানতে চাইলে প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমরা তাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এখানে এসেছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
