ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সঞ্জীব চৌধুরী: গানের আকাশে এখনও উজ্জ্বল

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০৫

সঞ্জীব চৌধুরী: গানের আকাশে এখনও উজ্জ্বল

‘পাগল রাগ করে চলে যাবে/ খুঁজেও পাবে না, পাগল কষ্ট চেপে চলে যাবে/ ফিরেও আসবে না’- হ্যাঁ এই পাগলটা চলে গেছেন। রাগ করে নাকি কষ্ট পেয়ে তার প্রস্থান, সেটা মূখ্য না। তবে গুণী এই মানুষটার চলে যাওয়ার এক দশক হয়ে গেছে।

বলছি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর কথা। যিনি লেখা, সুর আর কণ্ঠ দিয়ে জয় করেছেন অগণিত মানুষের মন। হয়েছেন স্মরণীয়-বরণীয়। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। রোববার তার প্রয়াণের এক দশক পূর্ণ হয়েছে।

প্রয়াণ দিবসে গুণী এই সংগীতজ্ঞকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছেন ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে তাকালেই তার প্রতি মানুষের ভালোবাসার খানিকটা আঁচ পাওয়া যায়। ফেসবুক টাইমলাইনগুলো যেন সঞ্জীব বন্দনায় ভরে উঠেছে। তার গানের লাইন কিংবা ছবি শেয়ার করে স্মৃতিকাতর হচ্ছেন সেই সময়ের অনেক মানুষেরা।

সঞ্জীব চৌধুরী ১৯৬৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স করে তিনি আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দেশের নামকরা বেশ কিছু পত্রিকায় তিনি দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন।

ছাত্রজীবনেই গানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সঞ্জীব চৌধুরী। শঙ্খচিল নামে একটি ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পথচলার শুরু। এরপর ১৯৯৬ সালে বাপ্পা মজুমদার ও আরও কয়েকজনকে নিয়ে গঠন করেন ‘দলছুট’ ব্যান্ড। ব্যাস, তারপর থেকে সঞ্জীবের গান হয়ে ওঠে রুচিশীল তরুণদের মনের খোরাক। প্রেম-বিরহ কিংবা জীবনবোধ সবই উঠে এসেছে তার গানে। ‘দলছুট’ ব্যান্ড থেকে তিনি থাকাকালীন প্রকাশ হয় আহ্ (১৯৯৭), হৃদয়পুর (২০০০), আকাশচুরি (২০০২) এবং জোছনা বিহার (২০০৭) অ্যালবামগুলো।

সঞ্জীব চৌধুরীর কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পাওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- গাড়ি চলে না, বায়োস্কোপ, আমি তোমাকেই বলে দেবো, কোন মেস্তিরি বানাইয়াছে নাও, আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ, সাদা ময়লা রঙিলা পালে, কথা বলবো না, এই নষ্ট শহরে, রিকশা, চোখটা এতো পোড়ায় কেন প্রভৃতি। গায়কীর তুলনায় সঞ্জীবের লেখা ও সুরের প্রশংসা ছিলো বেশি। কারণ তার রচিত গান আর সৃষ্ট সুর অন্যদের থেকে একদমই আলাদা ছিলো। একটা মন মাতানো আবহ ছিলো সেসব সুরে।

শুধু সাংবাদিকতা আর গান নয়, লেখক হিসেবেও তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন। তার লেখা কবিতা নিয়ে প্রকাশ হয়েছে ‘রাশপ্রিন্ট’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া ছোট গল্প, নাটকও লিখতেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব।

কেআই/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত