বাপ্পা-তানিয়ার বিয়ের গুঞ্জন

গত কয়েকদিন ধরে মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন চলছে, সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার এবং মডেল ও অভিনেত্রী তানিয়া হোসেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। তবে এমন খবরের মধ্যে ঘি ঢেলেছে তানিয়ার একটি ফেসবুক পোস্ট। অন্যদিকে বাপ্পা বিষয়টি নাকচ করেও দেননি।

গত রোববার (২০ মে) রাতে তানিয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া একটি পোস্টে দেখা যায় তার অনামিকা আঙুলে একটু হীরের আংটি পরানো, যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন ‘হোল্ডিং ইজ বিলিভিং’। এ বিষয়ে বাপ্পা মজুমদার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২২ মে) নিজের ফেসবুক একাউন্টে এ বিষয়ে তিনি তার বক্তব্য জানাবেন।

স্বামীর মৃত্যুতে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন যে অভিনেত্রী

অন্যদিকে অভিনেত্রী তানিয়া হোসেন মৃদু হেসে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এমন কোনো খবর আমার চোখে পড়েনি। বিষয়টি আমি জানতে পারলে নিশ্চয়ই আপনাদেরও জানাতে পারব।

গুঞ্জন রয়েছে, গোপনে অ্যানগেজমেন্টও সেরে ফেলেছেন বাপ্পা-তানিয়া। শিগগিরই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি এ পরিকল্পনা সত্যিই বাস্তবায়ন হয়, তবে দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে হবে। ২০০৮ সালে মডেল ও অভিনেত্রী মেহরুবা মাহনূর চাঁদনীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বাপ্পা মজুমদার। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। দুজন আলাদাও থাকছিলেন অনেক দিন যাবত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঁদনীর বিভিন্ন পোস্টে তাদের দাম্পত্যের অস্থিরতা প্রকাশও পেয়েছে নানা সময়ে, তবে এসব বিষয়ে বাপ্পা বরাবরই নীরব থেকেছেন।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাসকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন তানিয়া। বছর পার হওয়ার আগেই সে বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর কিছুদিন একজন জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকার সঙ্গে তানিয়ার প্রেমের গুঞ্জন বাতাসে ভাসছিল।

বাপ্পার বিয়ের বিষয়ে চাঁদনী বলেন, সবাই কেন আমাকে কল দেয়? কেন এই বিচ্ছেদের ব্যাপারে বাপ্পার কাছে জানতে চায় না। বিয়ে তো সে করছে, আমি না। আপনাদের উচিত তার কাছেই জানতে চাওয়া কেন বিচ্ছেদ হলো, কবে বিচ্ছেদ হলো। আমি এসব নিয়ে মুখ খুলতে চাই না।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডির ২৭ সিয়ার্স রেস্টুরেন্টে বাপ্পা মজুমদার ও চাঁদনীর বাগদান হয়। পরে তাদের দুই পরিবার একসঙ্গে হয়ে ঘরোয়াভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

ডিপি/