ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্ব সংগীত দিবসে শিল্পী মোহাম্মদ হাশেমকে সংবর্ধনা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ জুন ২০১৮, ১৬:০৭

বিশ্ব সংগীত দিবসে শিল্পী মোহাম্মদ হাশেমকে সংবর্ধনা

বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংগীতের শক্তি অপরিমেয়। সংগীতকে বাধা দিতে পারে না কোনো কাঁটা তারের বেড়া। সংগীতের নিজস্বতা আর স্বকীয়তা এতটাই প্রবল যে তা কোনো বিশেষ দেশে সীমাবদ্ধ থাকে না। বিদেশের সঙ্গীতজ্ঞ বব ডিলান কিংবা জিম মরিসনের গান যেমন এদেশের মানুষের মন ছুঁয়েছে, তেমনি আমাদের লালনের গানও পৌঁছে গেছে বিশ্বের দরবারে। ফলে সংগীতকে বৃহৎ পরিসরে ভাবতে হবে, সংগীতের প্রচার ও প্রসারে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্ব সংগীত দিবস। শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণে সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে ‘বিশ্ব ভরে উঠুক মানবতার জয়গানে’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে দুই দিনের সঙ্গীত উৎসব। বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম। শোভাযাত্রায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩০ জন কৃতি সঙ্গীত ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি সম্বলিত ফেস্টুন স্থান পায়।

এ উপলক্ষে রাজধানীতে আলোচনা, শোভাযাত্রা, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন ছিল। শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি। দুটি আয়োজনই হয়ে উঠেছিল শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারসহ সংগীত সংশ্লিষ্ট মানুষের মিলনমেলা।

সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের অনুষ্ঠানে সংগীতের নিজস্বতা রেখেই ফিউশন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান। পরিষদের সভাপতি তপন মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন।

আজাদ রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর যে কোনো দেশে যেতে পাসপোর্ট লাগে। সেই পাসপোর্টে যেমন নিজের পিতা-মাতার নামটি লেখা থাকে, তেমনি নিজস্ব সংগীত নিয়ে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে হলে ঐতিহ্য ও গৌরব ধরে রাখতে হবে। ফিউশন করতে গিয়ে যেন সংগীত স্রষ্টাকে অশ্রদ্ধা করা না হয়।’

সংগীত দিবসের এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গীতিকবি রফিকউজ্জামান, সুরস্রষ্টা শেখ সাদী খান, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, ব্যান্ডতারকা মানাম আহমেদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীল প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী বিশ্বজিৎ রায়। এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হয় বেতার, টেলিভিশন ও মঞ্চের শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম এবং শিল্পী ও সংগঠক মুকুল দাসকে।

শেখ সাদী খান বলেন, ‘মেধাসত্ব আইনটি যদি কার্যকর করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ সমবেত কণ্ঠে উদ্বোধনী সংগীত, দোতারায় যন্ত্রসংগীত ছাড়াও শিল্পী শাহীন সামাদ এ অনুষ্ঠানে একক গান গেয়ে শোনান। বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে একই স্থানে আজও রয়েছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এদিকে, সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সামনে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী আয়োজনের পর জাতীয় নাট্যশালার লবিতে পিয়ানো পরিবেশন করেন শিল্পী তিমির নন্দী এবং পাশাপাশি শিল্পীদের মিলনমেলায় অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণির শিল্পীরা। জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা পর্বে বিশিষ্ট শিল্পী মোস্তফা জামান আব্বাসীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী শেখ সাদী খান, শাহাদাৎ হোসেন খান, গাজী আব্দুল হাকিম, শাহীন সামাদ, বুলবুল মহলানবীশ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মো. সোহরাব উদ্দিন।

আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে শিল্পী চন্দন দত্তের পরিচালনায় সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ যন্ত্রশিল্পী ফোরাম, একক বেহালা পরিবেশন করেন-শিল্পী রূপসী মমতাজ, সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল, শিশু একাডেমি ও সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীরা। ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেন-জলের গান ও গান পাগল।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত