ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

তাইওয়ানের আকাশে ৯ ঘণ্টা স্থায়ী রংধনু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ০১:৫০

তাইওয়ানের আকাশে ৯ ঘণ্টা স্থায়ী রংধনু

তুমুল বৃষ্টির পর আকাশে রংধনুর দেখা পাওয়া যায়। এটা কোনো বিরল মহাজাগতিক ঘটনা নয়। তবে সাধারণত আকাশে এই সাতরঙা শোভা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ফুটে ওঠার কিছুক্ষণ পরই মিলিয়ে যায় রংধনু। কিন্তু, সম্প্রতি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে’র আকাশে যে রংধনুটি দেখা গেছে, সেটি স্থায়ী হয়েছিল প্রায় নয় ঘণ্টা।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রংধনুটি দেখা গেছে ইংল্যান্ডের আকাশে। ১৯৯৪ সালের ১৪ মার্চ প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে রংধনুর শোভা দেখতে পেয়েছিলেন ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দারা। কিন্তু, তাইপেবাসীর দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে সেই রেকর্ডটি আর অক্ষত থাকবে না।

বিজ্ঞানীদের মতে, তুমুল বৃষ্টির পর বায়ুমণ্ডলের বিন্দু বিন্দু জলকণা জমে। আর সেই জলকণায় উপর সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণে তৈরি হয় রংধনু। কিন্তু, তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় না। বায়ুমণ্ডলের যখন ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তখন রংধনুও মিলিয়ে যায়। তবে তেমনটা অবশ্য ঘটেনি তাইওয়ানে রাজধানী তাইপের আকাশে। সেখানকার আকাশে রংধনুর ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন চাইনিজ কালচারাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক চু কুন হুসাইন। বেশ কয়েকটি ভিডিও তুলেছেন তিনি। তাতে দেখা গেছে, সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাইপের আকাশে রংধনু ছিল। অর্থাৎ প্রায় নয় ঘণ্টা। যা নজিরবিহীন।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তথ্য বলছে, ১৯৯৪ সালে মার্চে ইংল্যান্ডে ইয়র্কশায়ারের আকাশে ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল রংধনু। এখন পর্যন্ত সেই ঘটনাটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রংধনুর নজির হয়ে রয়েছে।

অধ্যাপক চু কুন হুসাইন বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা রংধনুটির দশ হাজার ছবি তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারাও আরও অনেক ছবি তুলেছেন। তাই রংধনুটি যে সত্যি নয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল, তা প্রমাণ করার বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি।

কিন্তু, এই দীর্ঘস্থায়ী রংধনুর রহস্যটা কী? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যখন কোনো এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়, তখন সেখানে প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর আকাশে দীর্ঘক্ষণ রংধনু দেখতে পাওয়া যায়। কারণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া মেঘের জলধারণ ক্ষমতা বেশি। তবে বিজ্ঞানের তত্ত্বকথা ছেড়ে, আপাতত সৌন্দর্য ও রেকর্ডের নেশাতেই বুঁদ তাইপেবাসী।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত