ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মিয়ানমারেই থাকছে বিশ্বব্যাংকের স্থগিতকৃত ঋণ

মিয়ানমারেই থাকছে বিশ্বব্যাংকের স্থগিতকৃত ঋণ

বিশ্বব্যাংককে উদ্ধৃত করে মিয়ানমার টাইমস দাবি করেছে, জাতীয় উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য দেওয়া সংস্থাটির স্থগিতকৃত ঋণ মিয়ানমারেই থাকবে। ওই শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংক তাদের নিশ্চিত করেছে যে স্থগিতকৃত ঋণটি তারা ফিরিয়ে নেবে না। এটি জাতীয় উন্নয়ন খাত থেকে রাখাইনের সংকট মোকাবেলায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এদিকে মিয়ানমারের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কাছে থেকে এখন পর্যন্ত সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঋণ স্থগিতের কোনও আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি।

রাখাইন পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পর রেহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দেয় বিশ্বব্যাংক। ওই বিবৃতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর জাতিগত নিধনের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিশ্বের এই শীর্ষ ঋণদাতা সংস্থা। বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ‘সম্প্রতি মিয়ানমারের জন্য অনুমোদিত উন্নয়ন সংক্রান্ত ঋণের সবশেষ পরিস্থিতি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি। সার্বিক বিচারে আমাদের মনে হয়েছে, ওই ঋণের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতে সেখানকার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়া দরকার।’

দক্ষিণ এশীয় সংবাদমাধ্যম এশিয়ান রিভিউ-এর ১৩ অক্টোবর তারিখের এক প্রতিবেদনে রাখাইন সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের ২৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনার খবর প্রকাশিত হয়। মিয়ানমার টাইমস বলছে, এর মধ্যে রাখাইনের সংকট মোকাবিলায় ২০০ মিলিয়ন আর উন্নয়নে ৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।মিয়ানমারের ওই শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, জাতীয় উন্নয়ন খাতের স্থগিতকৃত ২০০ মিলিয়ন ডলারই রাখাইন সংকট মোকাবেলার খাতে স্থানান্তর করা হবে। জাতিসংঘ তাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার টাইমস।

দেশটির অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উ তুন তুন নায়িং বলেছেন, ২০০ মিলিয়ন ডলারই বিশ্বব্যাংকের দেওয়া একমাত্র ঋণ প্রকল্প নয়। বিশ্বব্যাংকের ঋণের মাধ্যমে আরও কয়েকটি প্রকল্প চালাচ্ছে মিয়ানমার। তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের নেতৃত্ব থাকা সত্ত্বেও ঋণ স্থগিত বা স্থানান্তর করলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে।’

২৭ এপ্রিল সংস্থাটি মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দেয়। এই ঋণের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ফিসকাল রেসিলেন্স ডেভেলেপমেন্ট পলিসি অপারেশন’ প্রকল্প তৈরি হওয়ার কথা ছিলো। এই প্রকল্পের আওতায় দীর্ঘমেয়াদী, কনসেশনাল অর্থায়ন ও পাবলিক বিনিয়োগও ছিলো। উ তুন তুন নায়িং-এর মতো অনেকেই মনে করছেন, ঋণ স্থানান্তরের ফলে কর সংগ্রহ ও ব্যয়ে সরকারের দক্ষতা ও জনগণের ঋণের স্থিতিশীলতা চ্যালেঞ্জর মুখে পড়বে বলে ।

পাবলিক একাউন্টস কমিটি সদস্য পিথিউ হ্লাতও বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যদি তাদের এই ঋণ স্থগিত করে বা অন্যখাতে ব্যয় করতে বলে, তবে এই ঋণের আওতায় চলমান প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বন্ধও হয়ে যেতে পারে কোনওটি। সরকারের বাজেট পরিকল্পনাও পাল্টাতে হবে।’

সূত্র: মিয়ানমার টাইমস

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত