ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার না করে অভিনব প্রতিবাদ ছাত্রীর

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৭, ১২:৪৮

স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার না করে অভিনব প্রতিবাদ ছাত্রীর

ক্যাম্পাসে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের সংখ্যা অপ্রতুল। ভেন্ডিং মেশিন থেকে যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায় সেগুলোর মানও খুব খারাপ। এই অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছেন কোলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। সোমবার ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন না পরেই অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানালেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চললেও বেশ কিছু সামাজিক বিধিনিষেধ এখনও সাধারণ মানুষের মনে স্থায়ী আসন ছাড়তে পারেনি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেয়েদের ঋতৃস্রাব নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা। ঋতুকালীন সময়ে মহিলাদের স্বাস্থ্যবিধির কথা খাস শহরেও অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি সবসময় মাথায় রাখেন না। দোকান থেকে কেনার সময় করতে হয় লুকোছাপা। এবার এই মানসিকতার পরিবর্তন আনতেই আন্দোলনে নামছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ।

আন্দোলনকারী ছাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসাতে হবে। নইলে পিরিয়ডের সময়েও তারা স্যানিটারি ন্যাপকিন না পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন।

আন্দোলনকারীদের দাবী-

ছাত্রীদের একাংশের দাবি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন নেই। যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টি ভবনে ভেন্ডিং মেশিন না বসবে, ততদিন তারা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না। আন্দোলনকারীদের তরফে তিন দফা দাবি রাখা হয়েছে।

- প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টি ভবনে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং বসাতে হবে।

- স্যানিটারি ন্যাপকিন কোনো বিলাসিতা নয়, জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর ১২ শতাংশ জিএসটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

- কেনো পিরিয়ডের মতো স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা যাবে না- এই নিয়েও আন্দোলনে নামছেন ছাত্রীদের একাংশ।

স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে প্রতিবাদ পশ্চিমবঙ্গে এবারই প্রথম নয়। এর আগে নারী-স্বাধীনতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, লিঙ্গ-বৈষম্য, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ঋতুস্রাব নিয়ে অযথা গোপনীয়তার বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। ছাত্রীরা আমাকে জানাতে পারত। ওদের ভেন্ডিং মেশিন লাগলে তা রেজিস্ট্রারকেই জানাতে পারত।

আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রিমঝিম সিনহা ভারতীয় গণমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে বলেছেন, গার্লস কমনরুমের সামনে একটিমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। কিন্তু সেটা থেকে যে ন্যাপকিন পাওয়া যায়, সেটি এতই শক্ত যে ব্যবহার করলে অস্বস্তি হয়। আমি নিজে ভুক্তভোগী। আন্দোলনকারীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, একমাত্র ভেন্ডিং মেশিনটিও গত একবছর ধরে খারাপ।

তবে তাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, ডিন অফ স্টুডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনিও জানিয়েছেন ভেন্ডিং মেশিনে কোনো সমস্যা নেই।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন, আনন্দবাজার

  • সর্বশেষ
  • পঠিত