ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কবর দেয়ার ১১ দিন পর ভেসে এল চিৎকার!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০২:২৬

কবর দেয়ার ১১ দিন পর ভেসে এল চিৎকার!

৩৭ বছরের এক মহিলাকে কবর দেওয়ার ১১ দিন পর ভেসে এল চিৎকার। মূলত রোজংলা আলমেদিয়া দোস সান্তোস নামের এক ব্রাজিলিয়ান মহিলাকে মৃত ভেবে কবর দেয়া হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, গত মাসে তীব্র ক্লান্তির কারণে রোজংলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার৷ প্রায় ৭ দিন হাসপাতলে ভর্তি থাকার পর ২৮ জানুয়ারি চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে৷ রোজাংলার ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী, প্রথমে কার্ডিয়াক আরেস্ট এবং তারপর ‘সেপটিক শক’-এ গিয়ে তার মৃত্যু হয়৷ পরের দিন উত্তর ব্রাজিলের রিয়াচও দাস নেভেসের ‘সেনহোরা সানটানা সেমেট্রি’তে কংক্রিটের কফিনে মৃত রোজংলাকে কবর দেয় তার পরিবার৷

জানা গিয়েছে, রোজংলাকে কবর দেয়ার ১১ দিন পর কবরস্থানের কাছাকাছি বসবাসকারী স্থানীয়রা কবরের ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পান৷ সঙ্গে সঙ্গে রোজংলার পরিবারকে খবর দেন তারা৷ কবরস্থানে এসে রোজংলার কফিন ভাঙেন পরিবারের লোকজনেরা৷ তখনও তার গায়ের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল৷ কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷ মারা গিয়েছেন তিনি৷

প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কবরস্থান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি একটি ভারী কফিন তুলছে৷ তারপর কফিনের ঢাকনা খুলতেই সবাই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন৷ জানা গিয়েছে, রোজংলার হাতে ও মাথায় আঘাত ছিল৷ যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, কফিন থেকে বেড়িয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ কফিনের পেরেকগুলিও উপর দিকে উঠে ছিল৷ কফিনের ভিতরে রক্ত ও আচড়ানোর দাগ ছিল৷

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নাতালিনা সিলভা বলেন, ‘‘আমি যখন কবরটির সামনে যাই তখন কবরের ভিতর থেকে আসা আওয়াজ শুনতে পাই৷ আমি ভেবেছিলাম কবরে যেসব বাচ্চারা খেলতে আসে তারা আমার সঙ্গে মজা করছে৷ তারপর আমি তাকে দু’বার আওয়াজ করতে শুনি এবং ওই দু’বার আওয়াজের পর তিনি আর কোন শব্দ করেননি৷’’

রোজংলার মা জারমানা ডে আলমেদিয়া (৬৬) বলেন, ‘‘সে ঢাকনাটি খোলার প্রাণপন চেষ্টা করেছিল৷ ওর হাতে আঘাত ছিল৷’’ পরিবারের বিশ্বাস রোজংলাকে ভুল করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল৷

এবিষয়ে রোজংলার বোন ইসমারা আলমেদিয়া বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনা৷ আমরা কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চাইনা৷’’

তবে পরিবার কোন সমস্যার সৃষ্টি করতে না চাইলেও মৃত্যুর ১১ দিন পর কোনো মানুষের দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারেনা৷ এই সত্যটি স্বীকার করে নিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আর্নাল্ডো মন্টে৷ ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন রোজংলাকে মৃত ঘোষণাকারী হাসপাতালের একজন মুখপত্র৷

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত