ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুসলিমদের শাস্তির দাবিতে ফেসবুকে চিঠি

মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও হিজাব খোলায় মিলবে পুরস্কার

মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও হিজাব খোলায় মিলবে পুরস্কার

ব্রিটেনে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এই ‘মুসলিমদের সাজা দেওয়ার দিবস’ পালন করার কথা ছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

জাতিবৈষম্য–ঘৃণাতে ভরপুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে লেখা এই চিঠিতে বলা হয়েছে, জনসাধারণ যেন মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়। ব্রিটেনে এই চিঠি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বেনামে এই চিঠি পোস্ট করছেন এবং যারা মুসলিমদের ওপর হামলা করবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও ঘোষণা করা হচ্ছে। এই চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত ট্রাইব্যুনাল থেকে এই চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং ট্রাইব্যুনাল চিঠির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

চিঠিতে বলা আছে, ‘‌তারা তোমায় আঘাত দিয়েছে, তাদের জন্য তোমার প্রিয়জনকে তুমি হারিয়েছ। তোমার ব্যাথা এবং মনঃকষ্টর জন্য দায়ী তারা। তোমার কী করা উচিত এ বিষয়ে? বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে তুমি কী শুধুই ‘‌ভেড়া’‌ হয়ে থাকতে চাও?’‌ এ ধরনের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুক এবং টুইটারের মতন জায়গায় পোস্ট করা হয়েছে। ‌চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‌মুসলিমরা সাদা বর্ণের মানুষের ওপর কর্তৃত্ব করতে চাইছে। আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করতে চাইছে তারা।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘কিন্তু ওরা শুধু আঘাত করতে পারে আর কিছুই পারে না। সিরিয়ার মত গোটা বিশ্বকে পুলিশ শাসিত করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মুসলিমরা। একমাত্র তুমি পার এ বিষয়ে সাহায্য করতে, তোমার কাছেই সেই শক্তি রয়েছে। ভেড়ার মত কাজ কর না।’‌ দীর্ঘ বক্তব্য ভরা এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা রয়েছে মুসলিমদের শাস্তি দিলেই মিলবে পুরস্কার। যদিও সেটা নম্বরের ভিত্তিতে। মুসলিমদের কথার মাধ্যমে যদি হেনস্থা করা হয় তবে সেক্ষেত্রে ১০ পয়েন্ট এবং ২৫ পয়েন্ট পাওয়া যাবে কোনও মুসলিম মহিলার হিজাব টেনে খুলে দিলে।

তালিকায় আরও পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। যদি কেউ মসজিদে আগুন বা বিস্ফোরণের মত ঘটনা ঘটায় তবে তার কপালে জুটবে ১০০০ পয়েন্ট এবং মক্কায় একই ঘটনা ঘটালে ২৫০০০ পয়েন্ট পাবে সে।

চিঠির নীচে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তর এবং আদালতের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি ঠিকানা ব্যবহার করে কারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে দপ্তর। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। গোটা ঘটনাটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইটও করা হয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত