ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন প্রতারণা!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৭:০৮

মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন প্রতারণা!

বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য মাত্র ৩৭৪ জন রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করতে পেরেছে মিয়ানমার। বুধবার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বাংলাদেশ। এমন খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনের বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ আগস্ট থেকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলাকে 'জাতিগত নিধন' আখ্যা দেয় জাতিসংঘ।

সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা।

তবে এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর নোবেল বিজয়ী অং সান সুচিও। বরং সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকেই বার বার তিনি ওই অঞ্চলে দমন-পীড়নের কথা অস্বীকার করেছেন।

গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। দু'মাসের মধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দু'মাসের বেশি সময়েও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার কাগজপত্র পরীক্ষা করেছেন কর্মকর্তারা। এই ৮ হাজার ৩২ জনের মধ্যে মাত্র ৩৭৪ জনের বিষয় যাচাই করে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনে এই ৩৭৪ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপযুক্ত সময়ে ৩৭৪ রোহিঙ্গা দেশে ফিরতে পারবেন। তবে এই ৩৭৪ জন দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাছাড়া বাকি সাত হাজার ৬৫৮ জন রোহিঙ্গা আদৌ কখনো রাখাইনের বাসিন্দা ছিল কি না সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় মিয়ানমার সরকার।

মিয়ানমার থেকে আরও যারা পালিয়ে এসেছেন তাদের প্রত্যাবাসনে কি করা হবে সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। তবে মিন্ট থু বলেছেন, অনেকের ক্ষেত্রেই আঙুলের ছাপ ও ছবি যুক্ত করা হয়নি। সে কারণে তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন তুন বলেন, এসব নথিপত্র আমাদের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিনজন সন্ত্রাসী রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সদিচ্ছার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত