ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৯৩৩ সালে মৃত্যু, ডেথ সার্টিফিকেট ২০১৮ সালে!

১৯৩৩ সালে মৃত্যু, ডেথ সার্টিফিকেট ২০১৮ সালে!

মৃত্যু হয়েছে ৮৫ বছর আগে। ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হল এখন। বিষয়টি নিয়ে চারদিকে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

১৯৩৩ সালে মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট সম্প্রতি ইস্যু করেছে ভারতের আউশগ্রাম-২ ব্লক প্রশাসন। আর ওই সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, জাল তথ্য দাখিল করে ওই সার্টিফিকেট নেয়া হয়েছে।

ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের আউশগ্রামের সোয়াই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিবারণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামের ওই ব্যক্তি। ১৯৩৩ সালে মারা যান তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ১৪ বছর আগে মৃত ওই ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট ব্লক প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়েছে মাস তিনেক আগে। বর্তমানের প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৮৫ বছর আগে মৃত ব্যক্তির শংসাপত্র ইস্যু করতে পারেন কী না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

গতবছর শেষের দিকে মৃতের উত্তরসূরি পরিবার ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায়। আবেদনে ছিল, নিবারণচন্দ্রের মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭-র ১৬ নভেম্বর আউশগ্রাম-২ ব্লক প্রশাসন থেকে নিবারণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ডি ২০১৭, ১৯-০১৮৪০-০০০০৬২। মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ ১০ মার্চ, ১৯৩৩।

সোয়াই গ্রামের বাসিন্দা শিবশক্তি বন্দ্যোপাধ্যায় নিবারণচন্দ্রের উত্তরসূরি হিসাবে ওই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। তাঁকে তা দেয়াও হয়েছে। শিবশক্তিবাবু জানান, “সঠিক পদ্ধতিতেই ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আর এক্ষেত্রে পুরোনো ডাক্তারের সার্টিফিকেটও দেয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে চিকিৎসক গোবিন্দপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি পরিবারের সদস্য রণজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সাতজন মিলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। গোবিন্দপ্রসাদের সই জাল করে পুরনো তারিখ দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হয়েছে।

এই অভিযোগ ওঠার পর অস্বস্তিতে প্রশাসন। অবশ্য তাদের যুক্তি, “প্রশাসনের উদ্দেশ্য হল যাঁরা সার্টিফিকেট চাইছেন তাঁরা যেন হয়রানির শিকার না হন। তাই যতটা সম্ভব নিয়ম শিথিল করে সার্টিফিকেট আমরা দিই। সাধারণ মানুষের কাজের সুবিধার্থেই আমরা এটা করি।”

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত