ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

১৭ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০১৮, ২০:২২  
আপডেট :
 ১৮ মার্চ ২০১৮, ০৮:৫৭

১৭ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত
ফাইল ছবি

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্তের কথা জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে উপস্থিত নিকটাত্মীয়দের সামনে এসব মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন-এর সামনে ফরেনসিক বিভাগের পক্ষ থেকে মরদেহগুলোর নাম প্রকাশ করেন হাসপাতালটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রমোদ শ্রেষ্ঠা। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি মেডিক্যাল টিম এর সদস্য ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় মোট ২৫টি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও একজন চীনা নাগরিক। নেপালি ও চীনা নাগরিকের মরদেহ স্বজনদের দেখানোর পর বাংলাদেশি নাগরিকদের মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়। বাংলাদেশিদের মরদেহের তালিকা পরে শোনান ডা. সোহেল মাহমুদ।

শনাক্ত হওয়া নিহত ১৭ বাংলাদেশিরা হচ্ছেন: পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি রয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, মোসাম্মৎ আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, শিশু তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভীন শশী রেজা, শিশু অনিরুদ্ধ জামান, মো. নুরুজ্জামান ও মো. রফিকুজ জামান

শনাক্ত হওয়া মরদেহের তালিকায় রফিকুজ্জামান ও তার ছেলে অনিরুদ্ধের নাম থাকলেও তার স্ত্রী সানজিদা হকের নাম নেই। একইভাবে পাওয়া যায়নি বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের নামও। এর আগে শনিবার মরদেহের তালিকা দেয়া হবে শুনে সারাদিন হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন অপেক্ষমাণ স্বজনরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সময় তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, মর্মান্তিক ওই বিমান দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেন ও শাহীন ব্যাপারী দেশে আসছেন রোববার। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাদের জন্যও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।

শনিবার বিকালে দেশে ফিরিয়ে এনে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় শেখ রাশেদ রুবায়েতকে। এর আগে শুক্রবার মেহেদী হাসান সুমন, সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার এ্যানিকে এবং বৃহস্পতিবার শাহরিন আহমেদ মুমুকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সটির বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ৫ জনকে দেশে এনে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর নেয়া হয়েছে গুরুতর আহত রেজওয়ানুল হককে। আহত আরেকজনকেও সিঙ্গাপুর নেয়া হতে পারে।

সামন্ত লাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার। ঢাকা মেডিক্যাল আহতদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেন জানান তিনি।

গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ফ্লাইটটিতে। এর মধ্যে নিহত হন ৪৯ জন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৬ জন ও নেপালের ২২ জন। এছাড়া ছিলেন এক চীনা নাগরিক। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১২ জন নেপালের ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক।

আরও পড়ুন-

‘মদ্যপ না হওয়ায় বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছি’

এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত