কথা শেখাতে শিশুকে আছাড়!
আড়াই বছরের শিশুকে মাটিতে আছাড়ে ফেললেন। বুকের ওপর বসে চলল বেধড়ক মার। স্পিচ থেরাপির নামে এমন নৃশংস নির্যাতন করলেন থেরাপিস্ট।
মর্মান্তিক এঘটনা ঘটেছে ভারতের কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডে। অভিযোগের ভিত্তিতে থেরাপিস্ট চৈতালি মুখার্জিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
বয়স আড়াই। কিন্তু, এখনও স্পষ্ট কথা ফোটেনি। আড়াই বছরের ছেলেকে তাই স্পিচ ক্লাসে ভর্তি করেছিলেন কথাকলি মালাকার। কিন্তু সেখানে যে এমন অভিজ্ঞতা হবে দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।
গত সোমবার (১৪ মে) বিকালে সেন্টারের স্পিচ থেরাপিস্ট চৈতালি মুখার্জির ক্লাস ছিল। কিন্তু, কিছুতেই ক্লাসে ঢুকতে চায়নি দুধের শিশু। জোর করেই চৈতালি তাকে নিয়ে যান। বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরের ভিতর থেকে ভেসে আসতে থাকে শিশুর আর্ত চিত্কার।
চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি ভিতরে ছুটে যান কথাকলি। ভিতরে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান সন্তানকে। একমাত্র সন্তানকে রক্তাক্ত দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি কথাকলি। চারু মার্কেট থানায় সেন্টারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। থানা থেকে সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। সেই ফুটেজ দেখে শিউরে ওঠেন কথাকলি।
অভিযুক্ত থেরাপিস্ট চৈতালি মুখার্জিকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু, তাতে সন্তুষ্ট নন কথাকলি। তার সন্তানের ওপর এমন অমানবিক নির্যাতন যারা চালিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি চান তিনি। বার বার ছুঁড়ে ফেলায় শিশুটির মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। হাত ও পায়েও গুরুতর চোট রয়েছে।
জেডআই