ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফিলিস্তিনি নার্স নাজারের জানাজায় জনতার ঢল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০১৮, ১২:৪৮

ফিলিস্তিনি নার্স নাজারের জানাজায় জনতার ঢল
ফিলিস্তিনি নার্স নাজারের জানাজায় জনতার ঢল। ছবি: আল জাজিরা

গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি নার্স সাবরিন আল নাজ্জারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ জুন) ২১ বছর বয়সী এ তরুণীর জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। নাজারকে হত্যার প্রতিবাদে তার মৃতদেহ নিয়ে শোক মিছিলেও শামিল হন তারা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা আল জাজিরা জানায়, জানাজা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়; জবাবে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল।

শুক্রবার (১ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত হন নাজার। সেসময় তিনি গাজা সীমান্তে আহত বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভ চলার সময় আহত একজনকে চিকিৎসা দিতে তিনি ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ছুটে গেলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ঘটনার দিন নাজার পেশাদার চিকিৎসাকর্মীদের মতো সাদা পোশাক পরে ছিলেন। তার ওপর তিনি ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে দুহাত উপরে তুলে সংকেতও দিয়েছিলেন। তারপরও ইসরায়েলি সেনা সদ্যসরা তার ওপর গুলি চালায়। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নাজার।

শনিবার নাজারের জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। তার মরদেহ ফিলিস্তিনি পতাকায় ঢেকে শোক মিছিল বের করা হয়। নাজারের শোকার্ত বাবার হাতে ছিল মেয়ের রক্তমাখা মেডিক্যাল জ্যাকেট। জানাজায় উপস্থিত জনতা নাজার হত্যার প্রতিশোধের দাবি তোলেন।

নাজার হত্যার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে দ্য প্যালেস্টাইন মেডিক্যাল রিলিফ সোসাইটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিকিৎসাকর্মীর ওপর গুলি ছোড়াকে জেনেভা কনভেনশনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়।’গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের ছয় সপ্তাহে মার্চ অব রিটার্ন বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা নাজারের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে। তাদের দাবি, হামাসই বেসামরিকদের জীবনকে হুমকিতে ফেলছে। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে অভিযান সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং তারা গাজা সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস ইচ্ছাকৃত এবং পদ্ধতিগতভাবে বেসামরিকদেরকে বিপদে ফেলছে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত