গুয়েতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৯
গুয়াতেমালার ফুয়েগা আগ্নেয়গিরি থেকে বুধবার নতুন করে মাটি ও ছাই নির্গত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগে পুরনো অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে একশ হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গত রোববার (৩ জুন) ফুয়েগা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৯য়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মাত্র ২৮টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ফরেনসিক সায়েন্স এজেন্সি। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৯২ জন মানুষ।
গুয়াতেমালার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জানায়, ওই অগ্ন্যুৎপাতে দেশের ১৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে দেশটিতে এত বড় দুর্যোগের ঘটনা প্রথম। এই দুর্যোগের পর ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১২ হাজার মানুষকে। অগ্ন্যুৎপাতে আক্রান্তদের মধ্যে খাদ্য ও পানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রি বিতরণ করছেন স্বেচ্ছসেবী কর্মীরা।
এদিকে অগ্ন্যুৎপাতে আক্রান্তদের জন্য রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৬ ডলার অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মধ্য আমেরিকান দেশ গুয়াতেমালায় মোট ৩৪টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এরমধ্যে ফুয়েগো একটি। স্প্যানিশ ভাষায় ‘ফুয়েগো’ শব্দের অর্থ ‘আগুন’।
গত রোববার এই আগ্নিয়গিরি থেকে নির্গত ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাভায় আকাশ কালো হয়ে যায়। এ থেকে নির্গত ধোয়া ও ছাই ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি সের্হিও কাবানাস এক বিবৃতিতে জানান, ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভায় তলিয়ে যায় এল রোডেও গ্রামটি। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়। যদিও প্রথম দিকে মৃতের সংখ্যা ২৫ বলে জানানো হয়েছিল।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭৪ সালে এই আগ্নেয়গিরি থেকে সর্বশেষ লাভা নির্গত হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
এমএ/