ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাকিস্তানের ভুলে পুরো কাশ্মীর ভারতের দখলে!

পাকিস্তানের ভুলে পুরো কাশ্মীর ভারতের দখলে!

ভারতের দখলকৃত একটি বিতর্কিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান আঞ্চলিক বিরোধ কাশ্মীর ইস্যু। এবার পাকিস্তানের ভুলে পুরো কাশ্মীরের মালিক হয়ে গেল ভারত।

বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের সমাজবিদ্যার বই বলছে কাশ্মীরের পুরো অংশই ভারতে৷ এমন মারাত্মক ‘ভুল’ নজরে আসতেই গোটা বই বাতিল করল দেশটি৷ পাকিস্তানে পাঠ্যপুস্তক যা পাঞ্জাব কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট বুক বোর্ড বা পিসিটিবি অনুমোদিত, তাতেই নাকি দেখা গিয়েছে এই ভুল৷ তাই তাড়াতাড়ি তা সংশোধন করতে উদ্যোগী হল তারা৷

সরকারি সংস্থা পিসিটিবির এই ভুলের জন্য বড়সড় খেসারত দিতে হতে পারে সংস্থার কর্তাদের৷ কারণ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে পাক সরকার৷ লাহোর পুলিশে চলে গিয়েছে অভিযোগ৷

যে সব বেসরকারি স্কুলগুলি এই বই পড়ানো হচ্ছিল, তাদের তলব করে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে৷ এখানেই থেমে থাকেনি পাক সরকার৷ প্রতিটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

পাঞ্জাব প্রদেশের সংশ্লিষ্ট সব অফিসারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও ভাবেই এই বই আর প্রকাশ করা না হয়৷ পিসিটিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুল কোয়ায়ুম জানিয়েছেন, বেসরকারি স্কুলের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ওই বই বাদ দিতে হবে, কারণ কেন্দ্র এই বইটিকে বাতিল ঘোষণা করেছে৷

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বইটিকে বাতিল ঘোষণা করা হয়৷ এই বইটি ক্লাস ২, ৪, ৫, ৭ ও ৮ শ্রেণীতে পড়ানো হত৷ একই ম্যাপ থাকত বইটিতে৷ সেখানেই বেঁধেছে বিতর্ক৷ প্রতিটি ম্যাপেই ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে কাশ্মীরকে৷ এই ম্যাপ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলে মনে করছে পাক সরকার৷

এর আগে, 'র' এবং 'আইএসআই'-এর দুই প্রাক্তন প্রধানের লেখা বই নিয়ে পাকিস্তানে শুরু হয় বিতর্ক৷ 'দ্য স্পাই ক্রনিকলস' নামে ওই বইটিতে কোনও গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না, তা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই বইটির অন্যতম লেখক জেনারেল আসাদ দুরানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ও তার বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বইটির আর এক লেখক, 'র'-এর সাবেক প্রধান এ এস দুলাত জানিয়েছেন, তারা দুজনেই অনেক বছর আগে অবসর নিয়েছেন। তাই বইটিতে সাম্প্রতিক কোনও গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করার প্রশ্নও নেই।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান আঞ্চলিক বিরোধ। দুই দেশের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭, ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯ সালে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। ভারত সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি তাদের বলে দাবি করে এবং যার মধ্যে ২০১০ সালের হিসাবে, জম্মু বেশিরভাগ অংশ, কাশ্মীর উপত্যকা, লাডাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহ নিয়ে প্রায় ৪৩% অঞ্চল শাসন করছে। অপরদিকে পাকিস্তান এই দাবির বিরোধিতা করে, যারা প্রায় কাশ্মীরের ৩৭% নিয়ন্ত্রণ করে- এর মধ্যে আছে আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্থানের উত্তরাঞ্চল।

এছাড়াও কাশ্মীরি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সাথেও কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তি বা সম্পূর্ণ স্বাধীন ঘোষণা করার জন্য অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত