ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর পুনর্মিলন নিয়ে দুই কোরিয়ার বৈঠক

বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর পুনর্মিলন নিয়ে দুই কোরিয়ার বৈঠক

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর সদস্যদের পুনর্মিলনের আয়োজন নিয়ে বৈঠকে বসেছেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। উত্তর কোরিয়ার পর্যটন কেন্দ্র মাউন্ট কুমগাংগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এ আলোচনা শুরু হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ও উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে হওয়া দুই দফা বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করতে এ আলোচনার পরিকল্পনা হয়।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন কিছু পরিবারের সদস্যদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। পরে পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও পারমাণবিক পরীক্ষার সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছালে পুনর্মিলনীর আয়োজনগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিককে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। ওই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ এপ্রিল উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরীয় নেতা মুন জ ইনের মধ্যে বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। ওই বৈঠকেই বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর পুনর্শিলনে পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন দুই নেতা। বৈঠকে তারা একমত হন, আগস্টের কোনও একটি দিনে দুই দেশ জাতীয় ছুটির দিন পালন করবে এবং ওইদিন পরিবারগুলোর পুনর্মিলনী আয়োজিত হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, উত্তর কোরিয়ার পর্যটক এলাকা মাউন্ট কুমগাং-এর একটি হোটেলে শুক্রবার বৈঠক হয়। বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতা পাক ইয়ং ইল বলেন, ‘আমাদের উচিত একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রেখে এবং একজন আরেকজনকে বোঝার চেষ্টা করার মধ্য দিয়ে ইতিবাচক কিছু অর্জনের চেষ্টা চালানো। আমাদের উচিত, অতীতকে ভুলে আমাদের নেতারা যে পথ খুলেছেন সে পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া।’

প্রসঙ্গত, ১৯৫০-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধে দুটি দেশ বিভক্ত হয়ে গেলে কয়েক হাজার পরিবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদের কারও কারও পরস্পরের সঙ্গে সামান্য যোগাযোগ থাকলেও কারও কারও একেবারেই নেই। ১৯৮৮ সাল থেকে দেশ দুটির মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোকে মাঝে মাঝে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তখন এক আবেগ আপ্লুত দৃশ্য দেখা যায়। তবে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর এই পুনর্মিলনী মাঝে মাঝে আবার দুদেশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে এ ধরনের পারিবারিক পুনর্মিলনী হয়েছিল।

সূত্র: রয়টার্স

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত