ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা খুদে ফুটবলারদের রোমহর্ষক গল্প

মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা খুদে ফুটবলারদের রোমহর্ষক গল্প

থাইল্যান্ডে টানা ১৭ দিন গুহায় আটকে থাকার পর উদ্ধার হওয়া দেশটির ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ নিজেদের বেঁচে থাকার গল্প শুনিয়েছে। জীবন-মরণের লড়াই শেষে ওয়াইল্ড বোয়ারস ফুটবল দল বুধবার প্রথম জনসমক্ষে আসে।

তাদের মঞ্চটি সাজানো হয়েছিল পুরো একটি ফুটবল মাঠের আদলে৷ সেখানে কিশোররা জানিয়েছে তাদের ১৭ দিনের অজানা কথাগুলো৷ জলমগ্ন অন্ধকার গুহায় শুধু পানি খেয়ে বেঁচে থাকার রোমহর্ষক সেই দিনগুলোর বর্ণনা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে এক কিশোর তার অভিজ্ঞতার বর্ণনায় বলেছে, তখন আমি সবাইকে বলেছিলাম লড়াই চালিয়ে যাও, হতাশ হবে না।

টিন নামে এক কিশোর জানায়, তারা শুধু পানি খেয়েছে। প্রথম দিন সুস্থই ছিল। কিন্তু দুই দিন পর ক্লান্ত হয়ে পড়তে শুরু করে তারা।

দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য তিতান বলেছে, আমার কোনো শক্তি ছিল না। আমি খাবারের কথা না ভাবার চেষ্টা করেছি।

আরেক কিশোর বলেছে, বাড়ি ফিরতে পারব না ভেবে আমার ভয় লাগছিল। বার বার মনে হচ্ছিল মা বকুনি দেবে।

আদুল স্যাম-অন নামে ১৪ বছরের আরেক কিশোর ডুবুরিরা যখন তাদের খুঁজে পেল সেই মুহূর্তকে ম্যাজিক বলে বর্ণনা করে। সে বলে, এটি ছিল জাদুকরী ব্যাপার।

‘ওয়াইল্ড বোয়ার’ নামক ওই কিশোর ফুটবল দল ও তাদের কোচ গত ২৩ জুলাই থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’গুহায় প্রবেশের পর নিখোঁজ হয়।

এরপর গত ৮ জুলাই কিশোরদের গুহার বাইরে বের করে আনার অভিযান শুরু হয়। ওইদিন চার কিশোর, পরদিন চার কিশোর এবং তারপর দিন চার কিশোর ও তাদের কোচকে বের করে আনা হয়। গত ১০ জুলাই সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দেশি –বিদেশি মিলিয়ে প্রায় হাজারখানেক ডুবুরি ওই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

দলটির কোচ এক্কাপোল চ্যাংটাওয়াং বলেন, কিশোরদের বের করে আনার সময় তাদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করা হয়নি। বরং যাদের বাড়ি গুহা থেকে দূরে তাদেরকে প্রথমে বের করা হয়েছে।

কিশোররা জানায়, তারা ফুটবল অনুশীলন শেষে এক ঘণ্টা গুহার ভেতর ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে গুহায় তারা আটকা পড়ে যায়।

কোচ এক্কাপল বলেন, আমরা গুহার দেয়াল খোঁড়ার চেষ্টা করেছি। পাথর দিয়ে দেয়ালের প্রায় ৩/৪ মিটার খুঁড়ে ফেলতে পেরেছিল বলে জানায় এক কিশোর। তবে তাদের চেষ্টা কোনো ফল বয়ে আনেনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত