ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিতর্কে ডন মিডিয়ার প্রধান

বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিতর্কে ডন মিডিয়ার প্রধান
ডন মিডিয়া গ্রুপের সিইও হামিদ হারুন

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডন মিডিয়া গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ( সিইও) হামিদ হারুন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, পাক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে সেনাবাহিনী। ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে হামিদ হারুন আরো অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইকে সাহায্য করছে।

বিবিসির 'হার্ড-টক' অনুষ্ঠানে দেয়া এই সাক্ষাতকারে পর অভিযোগ উঠেছে হামিদ হারুন এবং তার পত্রিকা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সমর্থনে পক্ষপাতিত্ব করেছে এবং ইমরান খানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

পাকিস্তানে ২৫ শে জুলাই সাধারণ নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের আগে যেসব পত্রিকা সেন্সরশিপের এবং হুমকির মধ্যে রয়েছে ডন পত্রিকার সেগুলোর মধ্যে একটি।

গত সোমবার (১৬ জুলাই) প্রচারিত সাক্ষাৎকারে হারুন অভিযোগ করেন, দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা ‘অভূতপূর্ব আক্রমণ’। তিনি অল পাকিস্তান নিউজপেপারস সোসাইটির-ও সভাপতি।

১৯৪৭ সালের পর থেকেই দেশটির রাজনীতিতে অহরহ হস্তক্ষেপ করেছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে সামরিক এবং বেসামরিক সরকারের কাছে বারবার ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। তবে সেনাবাহিনী আগামী নির্বাচনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু হামিদ হারুন বলেন, ‘আমি মনে করি এই পর্যায়ে মনে হচ্ছে দ্বিতীয় সারির নেতার সাথে যুক্ত হয়ে জোট সরকার গঠনের প্রচেষ্টা হচ্ছে যেটা 'ডিপ স্টেট' এর পরিচালনায় চলবে।’

এদিকে এই সাক্ষাৎকার নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটারে ইমরান খান বলেছেন, তার দলের ভয়ানক বিরুদ্ধচারণ করছে ডন পত্রিকা। অন্যরা বলছেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে হামিদ হারুনের কাছে শক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকা উচিত ছিল।

তবে তার পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন কিছু সাংবাদিক এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ইউজাররা। তারা বলেছেন, হামিদ হারুনকে একটা কঠিন অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছিল। যার কারণে তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই রাতে পাকিস্তান ফেরার পর লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দর থেকে মেয়ে মরিয়মসহ নওয়াজ শরিফকে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) কর্মকর্তারা। এসময় তাদের পাসপোর্টও জব্দ করা হয়। এর আগেই দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে ১০ এবং তার মেয়ে মরিয়মকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে পাকিস্তানের একটি আদালত।

সূত্র: বিবিসি

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত