ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিজ প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে ট্রাম্পের

নিজ প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে ট্রাম্পের
নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ট্রাম্পের

সর্বশেষ মার্কিন নির্বাচনের পরই অভিযোগ ওঠে যে নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করতে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন মহলের যোগসাজশ ছিল।

এই অভিযোগ তদন্ত করতে সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলারকে স্পেশাল কাউন্সেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই তদন্ত এগিয়ে চলছে। যদিও ট্রাম্পের দাবি রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। ইতোমধ্যে তিনি স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত বন্ধ করতে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে রাশিয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যতটা নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন ততটা নমনীয় নন তার প্রশাসনেরই কর্মকর্তারা। যে কারণে রাশিয়া প্রশ্নে ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রশাসনের সংঘাত বাড়ছে। শুক্রবার সিএনএন’র এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার যেভাবে একসুরে মার্কিন গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে রাশিয়ার ব্যাপক প্রচেষ্টার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তাতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদের মতানৈক্যের বিষয়টি স্পষ্ট।

এফবিআই’র পরিচালক ক্রিস্টোফার ওরেই বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ঠেকাতে দৃঢ় সংকল্প ও মনোযোগ দরকার। কিন্তু রুশ হস্তক্ষেপ নাকচ করতে অতীতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাণান্ত চেষ্টা মার্কিন গোয়েন্দাদের এ তথ্যের ব্যাপারে সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে।

বিদেশি হোক কিংবা অভ্যন্তরীণ, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অনেক সময় ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা গেছে। রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সতর্ক করার কয়েক ঘণ্টা পরই পেনসিলভেনিয়াতে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, গত মাসে পুতিনের সঙ্গে আমার ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা সব বিষয়ে আলোচনা করেছি। সব কিছু ভালো ছিল। কিন্তু রুশ হস্তক্ষেপের ‘ধোঁকাবাজি’এই অগ্রগতিতে বাধাগ্রস্ত করছে। এটা শুধুই হৌক্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সবকটি গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান প্রধানদের নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অথচ প্রেসিডেন্ট বারবার রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে খাটো করেছেন।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই। যদিও চাপের মুখে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে গোয়েন্দাদের তথ্যকে সমর্থন করেন।

ট্রাম্পের এ অবস্থানকে আরও ভালো করে স্পষ্ট করেছেন ইতিহাসবিদ ম্যাক্স বুট। তিনি সিএনএন’কে বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি পররাষ্ট্রনীতি। একটি ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যটি ট্রাম্পের নিজের। এ কারণেই দ্বন্দ্বটা বাড়ছে।

সূত্র: ইন্টারনেট

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত