ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভয়াবহ বন্যায় কেরালায় ৬৭ জনের মৃত্যু

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৩৫  
আপডেট :
 ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১০:৩০

ভয়াবহ বন্যায় কেরালায় ৬৭ জনের মৃত্যু

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত সাতদিনে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা, ভুমি এবং সেতু ধ্বসের পর ভারতের কেরালা রাজ্যে ৬৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সরকারের বরাত দিয়ে এখবর নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। দক্ষিন রাজ্য সরকার বলছে একশ বছরের মধ্যে বর্ষা মৌসুমে এবারই কেরালায় সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

কেরালায় প্রতি বছরই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় তবে এই বছরের ৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে সেখানকার অনেক গ্রামই প্লাবিত হয়েছে এবং সর্বশেষ বন্যার কারণে সরকার কোচি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যার কারণে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। কেরালার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একজন জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র জানান, ‘আজকের বিকালে আমরা ২৫ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।রাজ্যের কিছু কিছু জায়গার অবস্থা খুব ভয়াবহ এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে’।

কেরালার মুখ্য মন্ত্রী পিনারায়ি ভিজায়ান এক টুইটার বার্তায় ভারী বর্ষণ এবং বন্যার কারণে শনিবার পর্যন্ত কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে। ভিজায়ান বুধবার উদ্ধারকারী প্রতিনিধি দলের সাথে জরুরী বৈঠক করেছেন এবং বন্যার ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও আলোচনা করেছেন। মুখ্য মন্ত্রী কেরালা রাজ্যের উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাসনের জন্য রাজ্যের ৩৪টি বাঁধের মুখ খুলে দিয়েছে।

বুধবার ভিজায়ান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মাল্লাপেরিয়ার বাঁধের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা খুব উদ্বিগ্ন এবং এই পানি নিষ্কাশনের জন্য তারা তাদের প্রতিবেশী তামিলনাড়ু রাজ্যের সাহায্য চেয়েছেন। ভারতের বেসমারিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুরেশ প্রভু এক টুইটার বার্তায় লিখেন, কোচির সকল দেশি এবং বিদেশি ফ্লাইট গুলোকে কালিকট অথবা ত্রিভান্দ্রুম থেকে উড্ডয়নের জন্য বলা হয়েছে।

সরকারের দেয়া তথ্য মতে কেরলা রাজ্য প্রায় একশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটারের চেয়েও বেশি রাস্তা সহ হাজার হাজার বাড়ি ঘর ডুবে গিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত